ঈদগাঁও ফুলেশ্বরী নদীর করাল গ্রাস : চলাচল রাস্তা ও ঘরবাড়ি হুমকির মুখে

এম আবুহেনা সাগর,ঈদগাঁও

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ফুলেশ্বরী নদীর করাল গ্রাসে কয়েক ইউনিয়নের চলাচল রাস্তা,ফসলী জমি,বসতবাড়ি ও সৃজিত বাগান সহ ভূমি ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। পোকখালী ছড়াখালের ভাঙ্গনেই বিলীন হচ্ছে সব।

এতে  বিপাকে পড়েছে ইসলামাবাদের পূর্ব গজা লিয়া,পশ্চিম গজালিয়া,বাঁশঘাটা,হিন্দুপাড়া ঈদগাঁও ভোমরিয়াঘোনা,মন্ডলপাড়া,পালপাড়া, জালালাবাদ ছাতিপাড়া,লরাবাগ,খামার পাড়া, মিয়াজীপাড়া,পূর্ব ফরাজী পাড়া, বাহার ছড়া, পোকখালী রমজানের দোকান ভাঙ্গারমুখ,উত্তর নাইক্ষ্যংদিয়া,পূর্ব পোকখালী,মধ্যম পোকখালী, পশ্চিম পোকখালী এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। ঝুকিপূর্ণ ও ধ্বসে যাওয়া পোকখালী সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবী এলাকাবাসীর।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, পোকখালী খালের ওয়াবদাটি কয়েক গ্রামের অসংখ্য মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী। সাম্প্রতিক সময়ে নদী থেকে ব্যাপকভাবে  বালু উত্তোলন করার ফলে খালের দুপাশে ভাঙ্গন বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে। এদিকে পোকখালীর পূর্বপাড়া গ্রামের রাস্তা,বসতঘর,কৃষি জমিসহ সৃজন করা বনায়ন ও খালের গর্ভে পতিত হচ্ছে।

প্রচন্ড বৃষ্টিপাতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের সময় ঈদগাঁও ফুলেশ্বরী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ায় নদীর দু’কূলের একমাত্র সড়কটি ভেঙ্গে গেছে। সামান্য ব্রীক সলিং ও মাটির সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ায় ঐ গ্রামের লোকজন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে মানুষরা।

তবে স্থানীয়রা জানান,অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, অতিবষর্ণ ও পাহাড়ী ঢলে সড়কটি ভেঙ্গে গেছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি সংস্কার করা না হলে অচিরেই পুরোপুরি ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে। নাইক্ষ্যং দিয়ার এলাকার কয়েকজনের মতে, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে অতি বষর্ণে পাহাড়ী ঢলে ঈদগাঁও নদীর পানি বেড়ে যায়। খালের পার্শ্ববর্তী বসত বাড়ি, জমি ও সড়ক ভেঙ্গে যায়। এবছর নদীর পানিতে পোকখালী চলাচল সড়কটি ভেঙ্গে গেছে। যার ফলে এলাকার লোকজন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে চলছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে বিপাকে পড়বে এলাকা বাসী।

এলাকার আরেক সচেতন যুবক জানান, পোকখালী সড়কটি খালের ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। এদিকে মেম্বার হেলাল উদ্দিন জানান, নাইক্ষ্যংদিয়াসহ অংশে কয়েকটি ভাঙ্গনের সম্ভবনা রয়েছে। তবে ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদ মুঠোফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।