কক্সবাজারে এসিল্যান্ডকে ‘স্যার’ না বলায় সাংবাদিক নাজেহাল, জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ


বার্তা পরিবেশক:
সদর এসিল্যান্ডকে স্যার সম্বোধন না করায় সাংবাদিককে নাজাহাল ও হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজার সদর সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাজিম উদ্দিন এর বিরুদ্ধে। এশিয়ান টিভি’র ও জাতীয় দৈনিক ভোরের পাতার কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক ইমাম হোসেন শফিকের সাথে এই অপ্রীতিকর আচরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সদর ভূমি অফিসের এসিল্যান্ড কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এসময় বিভাগীয় কমিশনার চট্টগ্রাম বরাবর মিথ্যা অভিযোগ, কক্সবাজার কবিতা চত্বরে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলতে না দেওয়া ও স্যার সম্বোধন না করাসহ নানা অজুহাত তুলে এ সাংবাদিকদের নাজাহাল ও গালমন্দও করে বলে জানান তিনি। পরে বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসাক মো: কামাল হোসেনকে অবগত করে এবং লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইমাম হোসেন শফিক তার সংগঠন জেলা সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ’৭১ এর ভূমি সংক্রান্ত একটি ফাইল দীর্ঘ দিন ধরে পড়ে আছে। এটির অগ্রগতির বিষয়ে সংগঠনের নেতাদের অনুমতিক্রমে তিনি সদর ভূমি অফিসে যান। এসময় এসিল্যান্ড নাজিম উদ্দিনের অনুমতি সাপেক্ষে তার কক্ষে প্রবেশ করেন। পরে ফাইলের কথা জিজ্ঞেসা করাতে তেলে বেগুনে জ¦লে উঠে এই এ্যাসিল্যান্ড নাজিম উদ্দীন। বিভাগীয় কমিশনার চট্টগ্রাম বরাবর মিথ্যা অভিযোগ, কক্সবাজার কবিতা চত্বরে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলতে না দেওয়াসহ নানা অজুহাত তুলে তাকে শফিককে নাজাহাল ও পুরো সাংবাদিক মহলকে গালমন্দ করতে থাকে। পরে অফিস থেকে বের হতে বলে এবং জেলে দেওয়ার হুমকি দেয়। তাৎক্ষণিক বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবগত করেন তিনি। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলেন জেলা প্রশাসক।

এদিকে কৃষকলীগ এর জেলা দপ্তর সম্পাদক ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন এর সদর উপজেলার সভাপতি দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী অভিযোগ করে জানান, স্যার না ডাকাতে একইভাবে গত একসাপ্তাহ পূর্বে তাকেও তার পিতার সামনে নাজাহাল ও হেনাস্তা করেন এ কর্তা। শুধু তা নয় কিছু দিন কক্সবাজারের একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদককে মিথ্যা অভিযোগে ধরে এনে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করেন তিনি।

এ ব্যাপারে জেলা সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ’ ৭১ এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড গিয়াস উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা জানান, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী এ ধরনের কর্মকর্তাকে বিভাগীয় শাস্তি ও কক্সবাজার থেকে প্রত্যাহার না করলে মানববন্ধন থেকে শুরু করে নানা কর্মমসূচী দেওয়া হবে। এছাড়া এঘটার তীব্র নিন্দা জানান তারা।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করেন কক্সবাজার সদর এসিল্যান্ড নাজিম উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক শফিক তিনিসহ ২২ জনের নামে খাস জমি বন্দোবস্ত চেয়ে ভূমি অফিসে আবেদন করেছেন। আমরা যাচাই-বাছাই করছি ফাইলটি। যাচাই-বাছাই শেষ না হতেই তিনি প্রায় সময় অফিসে এসে আমাকে চাপ প্রয়োগ করেন। বৃহস্পতিবারও তিনি এভাবে চাপ প্রয়োগ কর করলে আমি যাচাই-বাছাই না ফাইলটি সম্পর্কে ইতিবাচক কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানাই। এতে তিনি ক্ষেপে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে জানান, এসিল্যান্ড নাজিমের বিরুদ্ধে এ ধরনের আরো অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ^াস প্রধান করেন।