হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করেছে চালের দাম

সাইফুল ইসলাম,কক্সবাজার জার্নাল

কক্সবাজারে হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করেছে চালের দাম। ৪/৫ দিনের ব্যবধানে বিভিন্ন ধরনের চাল প্রতি কেজি বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা করে এবং বস্তার প্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। নতুন করে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষরা। একদিকে নতুন করে চালের দাম বৃদ্ধি হওয়ার জন্য মিল মালিক ও মজুদারদের দোষারোপ করছেন খুচরা চাল ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে চালের দাম বৃদ্ধির কারণ জানায় ক্রেতারা যেমন ক্ষুব্ধ বিক্রেতারাও বিব্রত হয়েছে।

শনিবার (৫ ডিসেম্বর) শহরের বড় বাজারের চালের দোকানগুলো ঘুরে দেখা য়ায, হটাৎ চালের দাম বাড়তে থাকায় সাধারণ ক্রেতাদের নানা অভিযোগ। কোনো কারণ ছাড়াই চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে নানা ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।

অনেকেই বলছেন, কক্সবাজারে প্রায় ১২ লক্ষ রোহিঙ্গা অবস্থানসহ ও সরকারের মেয়াদ শেষ হয়েছে, নতুনভাবে সরকার আসায়, দল গোছাতে ব্যস্ত হওয়ার সুযোগ নিচ্ছে চালের মিল মালিকরা। এই যুক্তির সঙ্গে চালের খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারাও সহমত পোষণ করছেন। তারা বলছেন, নির্বাচনের আগের দুই দিনও চালের দাম স্বাভাবিক ছিল। নির্বাচনের পর পরেই চালের দাম বাড়াতে শুরু করেছে।

জানতে চাইলে পিটিস্কুল বাজারে চাল ব্যবসায়ী নুরুল হুদা বলেন, হটাৎ চালের দাম বাড়ার কারণ হচ্ছে এদিকে কক্সবাজার ১২ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। অন্যদিকে নতুন সরকার আসার ব্যস্তায় মনিটরিং না থাকায় প্রতি বস্তায় (৫০ কেজি) ১৫০ টাকা ও ২০০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে।

বড় বাজারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী মালিক বলেন, বড় বাজারে চাল ব্যবসায়ী পক্ষ থেকে এক সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। যেখানে নির্বাচনের আগে চালের দাম স্বাভাবিক সেখানে হঠাৎ করে ৪ দিনে কক্সবাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন সরকারের দিকে মনিটরিং দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছে চাল ব্যবসায়ীরা। তিনি আরও বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত চালের বাজারের এই মনিটরিং নতুন করে কার্যক্রম শুরু না করবে। ততদিন পর্যন্ত চালের বাজারে অস্থিরতা থাকবে।

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, গত ৫ দিনে কেজিতে মোটা চাল ৪ টাকা, সরু চাল ৩ টাকা ও সুগন্ধি চাল ৬ টাকা করে দাম বেড়েছে। একইভাবে বস্তার প্রতি ১৫০/২০০ টাকা বাড়ছে চালের দাম। আব্দু শুক্কুর নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘হঠাৎ করে চালের দাম বৃদ্ধিতে আমাদের বিক্রি কমে গেছে এবং ক্রেতাদের কাছে আমরাও বিব্রত বোধ করছি।