টেকনাফে জার্মান রাষ্ট্রদুত

অসহায় রোহিঙ্গা ও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকবে জার্মান

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,টেকনাফ :

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা টেকনাফে বসবাসরত ক্ষতিগ্রস্থ রোহিঙ্গা ও স্থানীয় হত দরিদ্র জনসাধরনের নানা সমস্যা নিজ চোঁখে দেখার জন্য সীমান্ত নগরী টেকনাফ ছুটে এলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদুত রাষ্ট্রদূত মিঃ পিটার ফারেন হুলস।

তথ্য দেখা যায়, ১৭ জানুয়ারী সকাল ১০ টায় টেকনাফে অবস্থানরত বেশ কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং অসহায় রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করার জন্য আনন্দ এনজিও সংস্থা হোস্ট কমিনিউটির দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। এই সময় সফর সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনজিও সংস্থা আনন্দের নির্বাহী পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান মিয়া, এরিয়া ম্যানেজার মোঃ হাসান চৌধুরী,রেসপন্স কো-অর্ডিলেটর বজলুর রশিদ। রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলো পরিদর্শন শেষ করার পর তিনি অত্র এলাকায় রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় জনসাধারনের খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য টেকনাফ পৌরসভা মেয়র হাজ্বী মোঃ ইসলামের সভাপতিত্বে এক মত বিনিময় সভায় মিলিত হয়। তথ্য সুত্রে দেখা যায়, জার্মান রাষ্ট্রদুত পৌরসভায় উপস্থিত হলে পৌর মেয়র, কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরগণ ফুলের তোড়া দিয়ে তাকে বরণ করেন। এরপর ১১টারদিকে পৌরসভার হলরুমে অত্র পৌরসভার কাউন্সিলার ও দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন, পৌরসভার মেয়র হাজী মোঃ ইসলাম,কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ মনির, মনিরুজ্জামান, আবু হারেছ, হোছন আহমদ, মহিলা কাউন্সিলর নাজমা আলম, কহিনুর আক্তার, দিলরুবা খানম, টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলম বাহাদুর, পৌর সচিব মহি উদ্দিন ফয়েজী, ইঞ্জিনিয়ার জহির উদ্দিন আহমদ ও উপসহকারী মুর্শেদুল ইসলামসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময়কালে হোষ্ট কমিউনিটির আনন্দ এনজিও সংস্থার কর্মকর্তাদের সহযোগীতায় মিয়ানমারেরর রোহিঙ্গা আগমনের পর থেকে পৌরসভার বসবাসরত স্থানীয় গরীব দুঃখী মানুষের ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। পাশাপাশি হাজার হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ফলে স্থানীয় শ্রম বাজার দখল, মাদক চোরাচালানে সম্পৃক্ততা, রাস্তা-ঘাটের ক্ষয়ক্ষতি, খাদ্য সংকট ও আইন-শৃংখলার অবনতির হওয়ার চিত্র তুলে ধরেন।

স্থানীয়দের নানা সমস্যার কথা গুলো শুনার পর জার্মান রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবিক সহায়তার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান। তিনি মত প্রকাশ করে আরো বলেন,জার্মান সরকার রোহিঙ্গাদের সহায়তার পাশাপাশি স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের জন্য চিন্তা-ভাবনা করছে। বাংলাদেশ সরকারের সাথে ফলপ্রসু আলোচনা স্বাপেক্ষে রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয় মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন। এরপর তিনি টেকনাফ জেটিঘাট পরিদর্শন করে মেরিন ড্রাইভ সড়ক হয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে টেকনাফ ত্যাগ করেন।