আওয়ামীলীগ নেতা দিদার ইয়াবা ব্যবসায়ী হতে পারে না- মানব বন্ধনে বক্তারা

বার্তা পরিবেশক :

ককসবাজার সদরের ঝিলেংজা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ককসবাজার মটর শ্রমিকলীগের সভাপতি সমাজ সেবক দিদারুল আলম দিদার, কখনও ইয়াবা ব্যবসায়ী হতে পারে না। জেলা পুলিশসহ বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীর রিপোর্টে তার কোন নাম নাই। এমনকি সম্প্রতি প্রকাশিত চুড়ান্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীর তালিকায় তার কোন নাম নাই।

তাছাড়া ওই দিদারের নামে বাংলাদেশের কোন থানায় ইয়াবার মামলাতো দুরের কথা, ইয়াবার কোন অভিযোগও নাই। তার নামে যে কয়টি মামলা আছে তাও রাজনৈতিক মামলা। যা বিএনপি জামাত সরকারের আমলে হয়েছিল। তিনি সারা জীবন মাদকের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন বলে দাবী করে বক্তারা আরো বলেন, দিদার একজন সামান্য ব্যবসায়ী। তার তেমন কোন টাকা পয়সা ও বাড়ি ঘর নেই। তিনি থাকেন একটি ছোট ভাড়াবাসায়।

সম্প্রতি তার শশুড়বাড়ির লোকজন রেল লাইনের অধিগ্রহনবাবদ একটি মোটা অংকের টাকা পেলে, তারা (শাশুর বাড়ির লোকজন) অসহায় জামাই দিদারকে কিছু টাকা দেন ব্যবসা করার জন্য।

যে টাকা ওই দিদারের জন্য কাল হয়ে দাড়ায়। বক্তারা বলেন, স্থানীয় কিছু কুচক্রি মহল দিদারের জনপ্রিয়তা ও উন্নতি সহ্য করতে না পেরে, কতিপয় সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে অপপ্রচারে লিপ্ত। আর সে কাজে দিদরের প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মিশনে নেমেছে ককসবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক আলোকিত উখিয়া নামে একটি পত্রিকা।

আওয়ামীলীগ নেতারা ওই আলোকিত উখিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অবিলম্ভে দিদারের বিরুদ্ধে ওইসব অপপ্রচার বন্ধ না হলে তারা ধারাবাহিক ভাবে বড় আন্দোলনের ডাক দিবে।

২৪ জুলাই বিকেলে ককসবাজারের খরুলিয়া দরখা গেইট এলাকায় ককসবাজার চট্রগ্রাম মহাসড়কের দু,পাশে বিশাল মানব বন্ধন কর্মসুচিতে বক্তারা উপরোক্ত কথা গুলো বলেন। ঝিলেংজা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সরোয়ার আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, ককসবাজার জেলা মটর শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক কলিম উল্লাহ কলিম, তাতীলীগ সভাপতি নবাব মিয়া, বৃহত্তর বাংলা বাজার সাংগঠনিক ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রায়হান উদ্দিন, সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সাকাওয়াত হোসেন, ৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগের আবদুল আজিজ, ৭ নং ওয়ার্ড সভাপতি সালাম মিয়া বাবুল, সাধারন সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা রুবেলসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত শতাধিক নেতা কর্মীরা বক্তব্য রাখেন।

বিকেল ৩ টা থেকে শুরু হওয়া সড়কের দু,পাশে হাজারও বিক্ষুব্দ সাধারন নারী পুরুষের লাইন থেকে দিদারকে নানা আইন শৃংখলা বাহিনী, পুলিশ, সাংবাদিকসহ সব ধরনের হয়রানী থেকে নির্শত মুক্তির দাবী জানানো হয়েছে।সুত্রে জানা যায়, ওই দৈনিক আলোকিত উখিয়ার সম্পাদক মিজানুর রশিদ ও আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনের ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত ১৫ জুলাই ঢাকা সাইবার ক্রাইম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ককসবাজার মটর শ্রমিকলীগের আহবায়ক ও আলোকিত সমাজ ককসবাজারের জেলা সভাপতি দিদারুল আলম। যার নং ২০৪/১৯ ইং। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ককসবাজার সদর মডেল থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত নং-৪ এ সম্পাদক মিজানুর রশিদ মিজানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চাদাঁবাজী ও মানহানির অভিযোগ এনে আরেকটি মামলা করে ওই ভোক্তভোগী দিদার। যার মামলা নং সিআর ৮৩৩/১৯।

বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই ককসবাজারকে তদন্ত করে প্রতিবেদনের নির্দেশ দেন। সুত্রে জানা গেছে, ওই আলোকিত উখিয়ার সম্পাদক মিজানুর রশিদ মিজানের বিরুদ্ধে আরো দুটি মামলা রয়েছে। যার একটি চাদাঁবাজি অন্যটি ফেনসিডিল ও মাদক দ্রব্য আইনে।

যথাক্রমে উখিয়ার থানার মামলা নং ৪/২০০৭ ইং তারিখ ৬/৬/২০০৭ ইং। আরেকটি উখিয়া থানার মামলা নং ৫/২০০৭ ইং। তারিখ ৬/৬/২০০৭ ইং।