ইয়াবা পাচার বন্ধে নাফ নদীর তীরে বসানো হবে সিসিটিভি

ডেস্ক রিপোর্ট – মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার বন্ধে দুই দেশের সীমান্তে নাফ নদীর তীর ধরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য (এমপি) মো. মুজিবুল হকের এক তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিভাগ নাফ নদীর তীর ধরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  এ ছাড়া ড্রাগ ডিটেক্টর, স্ক্যানার ও অন্যান্য অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ইয়াবা পাচার বন্ধের জন্য স্থাপন করা হবে। 

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল আরও বলেন, এসব ব্যবস্থার পাশাপাশি নাফ নদীতে নজরদারি বাড়ানোর জন্য স্পিডবোট কেনারও পরিকল্পনা রয়েছে। 

মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে কামাল বলেন, দেশের তরুণ প্রজন্মকে মাদকমুক্ত করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে।  সরকার মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। এটা বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ও কোস্টগার্ড সব সময় নিয়োজিত রয়েছে। এনফোর্সমেন্ট কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সমন্বয়ে কোর কমিটি এবং কক্সবাজার ও টেকনাফে ইয়াবা পাচার বিরোধী টাস্কফোর্স গঠিত হয়েছে। 

মন্ত্রী বলেন, ৬ কোটি ৯১ লাখ ২৯ হাজার ৩২৮টি ইয়াবা, ৪৫০ কেজি হিরোইন, ৬০ হাজার ৩৪৩ কেজি গাঁজা এবং ৭ লাখ ১৮ হাজার ৩৫৬ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এ পর্যন্ত মহাপরিচালক পর্যায়ে ৫টি ফলপ্রসূ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি ইয়াবা পাচার রোধকল্পে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে এ পর্যন্ত তিনটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।