উত্তেজনা ছড়াচ্ছে ইউটিউব সংবাদ চ্যানেল রোহিঙ্গা ভিশন, স্থানীয়দের ক্ষোভ

বিশেষ প্রতিবেদক :

মালয়েশিয়া হতে রোহিঙ্গা ভাষায় সম্প্রচার হওয়া রোহিঙ্গা ভিশন সংক্ষেপে আর ভিশন নামে একটি ইউটিউব সংবাদ চ্যানেলে টেকনাফে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন টেকনাফের বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ।

গত বৃহস্পতিবার রাতে রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন টেকনাফে যুবলীগ নেতা ও সমাজ সেবক ওমর ফারুক। যিনি রোহিঙ্গা আগমনের শুরুতে বিপন্ন রোহিঙ্গাদের খাবার ও আশ্রয় দিয়ে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। পরদিন ওমর হত্যাকান্ডের ঘটনায় এলাকাবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল। সেই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে আরভিশন প্রচার করে যে, ২৭ নম্বর জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি ভাংচুর, পুড়িয়ে দিয়ে লুটপাত চালিয়েছে ডাকাতদল। এছাড়া কিছু রোহিঙ্গাদের উপর গুলি চালিয়েছে ও কিছু রোহিঙ্গাকে ধরে নিয়ে গেছে বলে উল্লেখ করা হয়। রোহিঙ্গা ও ডাকাতদলের মাঝে মীমাংসা করতে গিয়ে ওমরের মৃত্যু হয়েছে বলে তারা প্রচার করে। শুধু তাই নয় রোহিঙ্গাদের দৌড়াইয়ে দৌড়াইয়ে পিটানো হচ্ছে ও জুলুম করা হচ্ছে বলে জাদিমুরা শিবিরের রোহিঙ্গাদের বরাতে প্রচার করে তারা।

এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উক্ত সংবাদটি মিথ্যা-বানোয়াট বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। রাশেদুল করিম নামে একজন লিখেছেন কিভাবে রোহিঙ্গারা মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে সবাই দেখুন।

টেকনাফ সরকারী কলেজের ছাত্র সোহেল সিকদার লিখেছেন ওমর ফারুক ভাইয়ের ঘটনা কিভাবে সাজিয়েছে দেখুন।
এভাবে রোহিঙ্গা ভিশন সংবাদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আরো অনেকে।

এদিকে রোহিঙ্গা টিভি নামে একটি বাংলা ভাষায় প্রচারিত অনলাইনে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক কে ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে প্রচার করেছে।

রোহিঙ্গারা ওমর ফারুকের মতো পরিচ্ছন্ন একজন যুবলীগ কর্মীর নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের পক্ষাবলম্বন করে প্রচার করায় তাদের কোন দুরভসন্ধি রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক জানান, যেসব মাধ্যমে উত্তেজনা ছড়ানো হচ্ছে সরকারের উচিত সেসব সংবাদ মাধ্যমের উপর নজরদারী বাড়ানো। প্রয়োজনের বাংলাদেশে অননুমোদিত সেসব চ্যানেল ও অনলাইন বন্ধ করে দেওয়া।