এনজিওগুলোকে জেলা প্রশাসনের আহবান

ডেস্ক রিপোর্ট – আগামি মাস থেকে আইএনজিও এবং এনজিওগুলো কর্মী নিয়োগ দেয়ার কাজ শুরু করবে। যাঁদের বেশিরভাগই কক্সবাজার জেলার বাসিন্দা। প্রাথমিকভাবে প্রতিটি এনজিও দুই থেকে পাঁচজন পর্যন্ত কর্মী নিয়োগ করবে। পাশাপাশি ১০ থেকে ৫০ জন পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেবে। যাঁদের প্রত্যেকের চাকরির মেয়াদ হবে ৩ থেকে ৬ মাস। এরপর প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি পেলে নিয়োগকৃতদের চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়টি চিন্তা করা হবে।

গতকাল জেলাপ্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা এনজিও বিষয়ক সভায় এমন প্রতিশ্রুতি দেন এনজিও প্রতিনিধিরা। বেলা সাড়ে ১২ টায় অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেবাপ্রদানকারী অক্সফাম, কেয়ার, সেভ দ্যা চিলড্রেন, প্ল্যান, ইপসা, ব্র্যাক, ডিআরসি রিকসহ ২০ টির অধিক আইএনজিও এবং এনজিও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে মোঃ আশরাফুল আফসার স্থানীয়দের চাকরি থেকে ছাঁটাই না করার আহবান জানিয়ে বলেন, ইতোমধ্যে কক্সবাজার জেলাপ্রশাসনে শতাধিক ব্যক্তি জীবন-বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কার্যক্রম পরিচালনাকারী সংস্থাগুলোকে তাঁদের মধ্য থেকেই নিয়োগ দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বপালনরত কোন কর্মকর্তা কিংবা কর্মীর উপর হামলা হলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। ৫ ফেব্রুয়ারি উখিয়ায় হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। নিশ্চিত করা হবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। যাতে অদূর ভবিষ্যতে কেউ এভাবে হামলা চালিয়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে না পারে। ক্ষুণœ করতে না পারে সরকারের ভাবমূর্তি।

সাম্প্রতিক সময়ে চাকরি থেকে কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়ে বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা তাঁদের বক্তব্যে বলেন, পর্যাপ্ত ফান্ড না থাকা, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে তাঁরা চাকরি থেকে কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হচ্ছেন। ওই সময় ফেসবুকসহ ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ডিআরসি’র গাড়ি ভাঙচুর করতে প্ররোচিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।