সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৪ জন

কক্সবাজারে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী

সাইফুল ইসলাম, কক্সবাজার জার্নাল

কক্সবাজার জেলায় দিন দিন বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগি। কক্সবাজার সদর হাসপাতাল-সহ জেলার বিভিন্ন হাপাতালে ভর্তি ছিলো ৫৫ জন। ইতিপূর্বেই সদর হাসপাতালে থেকে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৪ জন রোগি।

সরেজমিনে, সদর হাসপাতালে ৬ আগষ্ট (মঙ্গলবার) রাত ৮ দিকে ভর্তি রয়েছে মোট ১৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগি।
জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: মোঃ মহি উদ্দিন বলেন, সদর হাসপাতালে (৬ আগষ্ট) সকাল ৮ পর্যন্ত ভর্তি ছিলো ১৮ জন রোগি। ততমধ্যে থেকে একজন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বাকী ছিল ১৭ জন।

(৬ আগষ্ট) সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত ফের ভর্তি হলো ২ জন। বর্তমানে ভর্তি রয়েছে ১৯ জন রোগি। শুরু থেকেই সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগি ছিলো ৫০ জন। তারমধ্যে থেকে ২৪ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিলে গেলেও ৪ জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করা হয় এবং ২ জন স্ব-ইচ্ছায় হাসপাতাল থেকে চলে যান।

তিনি আরও বলেন, ডা: মহিউদ্দীন নিজেই সকাল ৮ থেকে রাত ১০ পর্যন্ত নিজে উপস্থিত থেকে ডেঙ্গু রোগির চিকিৎসা নিয়ে তদারকি করছেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগির শতভাগ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করেছেন। সার্বক্ষনিক ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগিদের তদারকিতে রয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। পাশাপাশি ২৪ ঘন্টা দায়িত্বে পালনে নিয়োজিত রয়েছেন ‘ডেঙ্গু টিম’। ফলে সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগিরা দ্রুত সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার জেলায় ৬ আগষ্ট (মঙ্গলবার) সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগি সনাক্ত হয়েছে ৫৫ জন। এর মধ্যে কক্সবাজার সদর ও পৌরসভায় ২৬ জন, মহেশখালী ২ জন, রামুতে ৯ জন, উখিয়ায় ৪ জন, টেকনাফে ১ জন, চকরিয়া ৫ জন এবং অন্যান্য জেলা থেকে আসা ৮ জনসহ মোট ৫৫ জন রোগি।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, ৩ আগষ্ট থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগিকে আরও কিভাবে ভালো চিকিৎসা দেয়া যায় সেই লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন করছেন। শুধু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নয়, হাসপাতালের সমস্ত চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স, কর্মচারি সবাই ডেঙ্গু নিয়ে কাজ করছেন। প্রতিদিন সকালে সবার উপস্থিতিতে সভা করা হয়। সেখানে রোগিদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজের নিয়োজিত থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

তিনি আরও বলেন, জ¦র হলে দ্রুত রেজির্স্টাড চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে। হাতুড়ি ডাক্তারের কাছে যাওয়া যাবেনা। প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য ঔষুধ দিলে রোগির ভয়াবহতা বেড়ে যাবে। এমন কি মল ত্যাগের সময় রক্ত যেতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে সবাইকে।

সিভিল সার্জন ডা: আবদুল মতিন জানান, কক্সবাজারে যাতে ডেঙ্গু ছড়াতে না পারে সেই জন্য কক্সাবাজর পৌরসভাসহ প্রত্যেক ইউনিয়ন, উপজেলাগুলোতে জনসচেতনতা মুলক লিফলেট মাইকিংসহ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হচ্ছে। ডেঙ্গু নিয়ে আতংক হওয়ার কিছু নেই। ফলে সবাইকে সচেতন এবং সতর্ক থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, জনসচেনতা বাড়াতে জেলার বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ফগার মেশিন দিয়ে ঔষুধ ছিটানো, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, গণসচেতামূলক লিফলেট, র‌্যালি, করে যাচ্ছেন জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, জেলা পুলিশ, কক্সবাজার পৌসভার, ও স্বাস্থ্য বিভাগ-সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।