কক্সবাজারে পর্যটকদের মানবেতর রাত্রিযাপন দেখে ছাত্রলীগ নেতার মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন

বিশেষ প্রতিবেদক :

মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সরকারি ছুটিকে কেন্দ্র করে লোকে লোকারণ্য পর্যটন নগরী কক্সবাজার। হোটেলের রুম যেনো সোনার হরিন। 

এ বছর পর্যটন মৌসুম শীতকালে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় পর্যটকদের উপস্থিতি যেমন ছিলো না

ঠিক তেমনি কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসাও লাটে উঠেছিলো। তাই টানা ৩ দিনের ছুটি পেয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নারী পুরুষ পর্যটকদের বিশাল চাপ সৃষ্টি হয় কক্সবাজার। আর এতেই সংকট দেখা দিয়েছে আবাসিক হোটেল রুমের। তার উপর রোহিঙ্গাদের সাহায্য করার জন্য বিদেশী এনজিও গুলো হোটেলের রুম ভাড়া করে রেখেছে মাসিক চুক্তিতে।

এদিকে হোটেলে রুম না পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেয় অনেক পর্যটক৷  সন্ধ্যার পর থেকে কিছু হোটেলে বেশি দামে রুম নিয়ে ওঠলেও অনেক পর্যটককে বিপাকে পড়তে হয়।  

এদিকে রাত ১১টার পর থেকে পর্যটকদের অসুবিধার দৃশ্য দেখে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের রাত্রীযাপনে ব্যবস্থা করেন। কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ নেতা মইন উদ্দীন ঢাকার কল্যাণপুর ও মিরপুর থেকে আসা প্রায় ৫০ জনকে বিমানবন্দর সড়কস্থ নিজের ও বন্ধুর ফ্ল্যাট বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেন। এছাড়াও কক্সবাজারের হোটেল রেনেসাঁর ব্যবস্থাপকের সাথে কথা বলে ওই হোটেলের অডিটোরিয়াম হলেও ২০জনের রাত্রীযাপনের ব্যবস্থা করেন এই ছাত্রলীগ নেতা।

জানতে চাইলে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ছাত্রলীগের সভাপতি ও জেলা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মইন উদ্দীন বলেন- কলাতলী থেকে আসার পথে দেখতে পায় অনেকেই হোটেলে রুম না পেয়ে ব্যাগ নিয়ে রাস্তার পাশে বসে আছে। পর্যটকরা মানবতর রাত্রী যাপন করছে আমাদের কক্সবাজারে এসে, এটা দেখতেও খারাপ লাগে; যোগ করেন ছাত্রলীগনেতা মইন। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয় বলেন- ছাত্রলীগ একটি মানবিক ছাত্র সংগঠন৷ হোটেলে রুম না পেয়ে অনেকেই অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলো। এদের মধ্যে কিছু সংখ্যক পর্যটকের রাত্রীযাপনের ব্যবস্থা করে আমাদের ছেলেরা।

তিনি বলেন- এনজিও কর্মকর্তারা কক্সবাজারের হোটেল-মোটেলগুলোতে অফিস আর মাসিক ভিত্তিতে রুম নিয়ে নেয়ায় পর্যটকদের  জন্যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে।