কক্সবাজারে ৩৬টি ব্রীজ হচ্ছে গ্রামে

এম. বেদারুল আলম :

সরকারের উন্নয়ন ধারাবাহিকতায় যোগ হচ্ছে গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন। নির্বাচনের ইশতেহারে গ্রামকে শহরে রুপান্তর করার প্রাথমিক প্রক্রিয়া হিাসাবে গ্রামাঞ্চলে নির্মিত হচ্ছে ৩৬টি ব্রীজ। কক্সবাজারের ৮ উপজেলার ১৫ লাখ জনগোষ্ঠির জন্য ৮ কোটি ৭৮ লাখ ৯২ হাজার টাকা ব্যয়ে উক্ত ৩৬টি ব্রীজ নির্মিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৫০ শতাংশ কাজ সমাপ্তির পথে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

আগামি জুন মাসের মধ্যে ব্রীজের অবশিষ্ট কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন প্রকল্প বাস্তবায়ণ কর্মকর্তা। ব্রীজ নির্মান প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কর্মকর্তা মোঃ রইস উদ্দিন মুকুল জানান, কক্সবাজারের ৮ উপজেলায় ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ৩৬টি ব্রীজ নির্মান করা হচ্ছে। গত বছর অক্টোবর-নভেম্বর মাসে গ্রামীন অবকাঠামাগোমত উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায়  কক্সবাজারের ৮ উপজেলার ১৫ লাখ জনগোষ্ঠির জন্য ৮ কোটি ৭৮ লাখ ৯২ হাজার টাকা ব্যয়ে উক্ত ৩৬টি ব্রীজ নির্মান কাজ শুরু করে। ইতোমধ্যে গড়ে ৫০ শতাংশ কাজ শেষের পথে। উপজেলা ভিত্তিক ব্রীজ ও নির্মানের জন্য দেওয়া বরাদ্দ হচ্ছে কক্সবাজার সদরের ৩টি ব্রীজের জন্য ৬৫ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। নির্মান কাজের অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। চকরিয়ার ৫টি ব্রীজের জন্য ১ কোটি ২৭ লাখ ৪৫ হাজারটাকা। কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৫৫ শতাংশ। কুতুবদিয়ার ৬টি ব্রীজের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৯৫ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। মহেশখালীর ৪টি ব্রীজ নির্মিত হচ্ছে ৯৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকায়। কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৮০ শতাংশ। পেকুয়ার ১টি ব্রীজের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কাজের অগ্রগতি ৪০ শতাংশ। রামুর ৩টি ব্রীজ নির্মিত হচ্ছে ৮৭ লাখ ৮২ হাজার টাকায়। কাজের অগ্রগতি ৩৫ শতাংশ। টেকনাফের ৬টি ব্রীজ নির্মিত হচ্ছে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৭৩ হাজার টাকায়। কাজের অগ্রগতি মাত্র ২৫ শতাংশ। উখিয়ায় সর্বোচ্চ ৮টি ব্রীজ নির্মিত হচ্ছে ২ কোটি ১১ লাখ ৫৭ হাজার টাকায়। কাজের অগ্রগতি ৬৫ শতাংশ বলে জেলা প্রশাসনের প্রতিবেদন থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ৩৬টি ব্রীজের নির্মানের অগ্রগতি মাত্র ২৩ শতাংশ যা জেলা প্রশাসনের অগ্রগতি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ব্রীজ নির্মান কাজ এগিয়েছে কক্সবাজার সদর, রামু, মহেশখালী উপজেলায়।

মহেশখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ণ কর্মকর্তা মোঃ শফিউল আলম সাকিব কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে দৈনিক কক্সবাজারকে জানান- আমরা ব্রীজ নির্মান কাজ শুরু করেছি অক্টোবর মাসের শেষের দিকে। ইতোমধ্যে মহেশখালীর ৪টি ব্রীজের মধ্যে বড় মহেশখালী, শাপলাপুর ইউনিয়নের ২টি শেষ হয়েছে অবশিষ্ট ২টি ও ৮০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। তাছাড়া আমি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি কক্সবাজার সদরে। সেখানে ৩টি ব্রীজের মধ্যে পিএমখালী ও ঝিলংজার ব্রীজ নির্মান কাজ শেষের দিকে। অপরটি ঈদগাওঁ ভাদিতলায় নির্মান করা হচ্ছে। এটির বেইচ পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি হয়েছে। আশাকরি জুনের আগে সমস্ত কাজ শেষ হবে। তিনি ব্রীজগুলো নির্মান কাজ শেষ হলে প্রায় ২ লাখ মানুষ এর উপকারের আওতায় আসবে বলে জানান।

অপরদিকে চকরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমানকে ব্রীজ নির্মান কাজের অগ্রগতি বিষয়ে বলেন- চকরিয়ার ৫টি ব্রীজের মধ্যে হারবাং এবং ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ২টি কাজ শেষ হয়েছে। বাতি কাকরা, বরইতলী, বদরখালীর ইউনিয়নের ৩টির কাজ ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামি মাসে সব কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন পেকুয়া উপজেলার। পেকুয়ার ব্রীজটি নির্মান কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান তিনি।

সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা তখনই সফল হবে যখন নির্মান কাজ হবে দূনীর্তিমুক্ত, সাধারণ মানুষ যদি প্রকৃত এর সুফল ভোগ করতে পারে। ৩৬টি ব্রীজ নির্মান কাজ শেষ হলে কক্সবাজারের প্রত্যন্ত এলাকার ১৫ লাখ মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ওয়াদা গ্রামকে শহরে রুপান্তর বাস্তবে রুপ পাবে।