কুতুপালং ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

শহিদুল ইসলাম, উখিয়া

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শর্রনাথী ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে এক রোহিঙ্গা যুবকের র্মমান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

২৫ আগস্ট রবিবার রাত আটটার সময় উখিয়ার কুতুপালং রেজি: ক্যাম্পের দুই নং স্কুলের সামনে এ হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটে।নিহত যুবকের নাম রহিম উল্লাহ।

সে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লকের বাসিন্দা আবদুস সালামের ছেলে।

ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে.উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা আবদুস সালামের ছেল রহিম উল্লাহ ও একই ক্যাম্পের বাসিন্দা শহীদুল্লাহ।

তাদের মধ্যে কথাকাটির এক পযাযে শহীদুল্লাহ সহ বেশকয়েক মিলে রহিমকে বুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পাশ্ববতী লোকজন এগিয়ে এসে রহিমকে উদ্ধার করে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও পরিচালনাধীন হাসপাতালে র্ভতি করা হয়।

পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।রাত নয়টার দিকে মৃত্যুবরন করেন।

উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ রেজাউল করিম বলেন এধরনের ঘটনার কথা শুনেছি।তবে বিস্তারিত ঘটনা এখনো পায়নি।

উখিয়া থানার ওসি আবুল মনছুর ছুরিকাঘাতে এক রোহিঙ্গা যুবক গুরুত্ব আহতের খবর শুনেছি।

প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গারা খুন, ডাকাতি, চুরি, ধর্ষণ, ইয়াবা-মানবপাচার, নির্যাতন, ফসলি জমি দখলসহ ১৭ ধরনের অপরাধে জড়িত। কিন্তু ক্যাম্পগুলো ঘিঞ্জি হওয়ায় অভিযান পরিচালনায় বেগ পেতে হয়। এ সুযোগে রোহিঙ্গাদের মধ্যে থাকা অন্তত ১৪টি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যরা ক্যাম্প বদল বা পলায়নের সুযোগসহ অদূরবর্তী পাহাড়ে ঘাপটি মেরে থাকে।

গত দুই বছরে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর হাতে ক্যাম্পের রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ৪৩ জন খুন হয়েছেন। বেশিরভাগ হত্যা-খুনের নেপথ্যে অপহরণ, ডাকাতি,ইয়াবা,মানব পাচার, ক্যাম্পের নেতৃত্ব (মাঝি-চেয়ারম্যান) নির্বাচন, প্রভাব বিস্তার থেকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করেও ঘটছে। এসব খুনোখুনির ৪৩টি মামলায় ১৩৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে এ বছরের ২০ আগস্ট পর্যন্ত ৪৭১ মামলায় আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ৮৮ রোহিঙ্গাকে। উখিয়া ও টেকনাফ থানায় দায়ের মামলাগুলোর মধ্যে ইয়াবাসহ মাদক চোরাচালানের ২০৮টি মামলায় আসামি করা হয় ৩৬৮ জনকে।