টেকনাফে ইউপি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা,অস্ত্র,গুলি উদ্ধার!

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল

পাশ্ববর্তীদেশ ভারতের কাছাকাছি বেনাপোল সীমান্তে আটক টেকনাফ সদর ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহানকে সাথে নিয়ে টেকনাফ থানা পুলিশ সদস্যরা একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে।

পুলিশের দাবী,এসময় তাদের বাড়ি থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা, ৪টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র ও ২৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

আটক শাহজান মিয়া টেকনাফ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাফর আহমদের ছেলে।
তারা দুজন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা ৭৩জন শীর্ষ গডফাদারের তালিকায় ৬ নাম্বারে টেকনাফ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাফর আহমদ।

৯ নাম্বারে রয়েছে টেকনাফ সদর ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহানের নাম। আটক শাহাজাহানের পিতা সাবেক উপজেলা চেয়াম্যানের বসতবাড়ির পিছনে জেনারেটর রুমে মাঠির নিচ থেকে ইয়াবা,অস্ত্র,গুলি উদ্ধারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস।

তিনি জানান,গত ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় যশোর বেনাপোল সীমান্তে আটক হন শীর্ষ মাদক কারবারি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়া।

সেই খবরটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ার পর টেকনাফ থানা পুলিশ সদস্যরা বেনাপোল থেকে নিয়ে আসে টেকনাফে। এরপর তার স্বীকারুক্তি মোতাবেক ২৮ জুলাই রোববার বিকেলে পুলিশের একটি টিম টেকনাফ সদর ইউনিয়ন লেংগুরবিল এলাকায় আটক শাহজাহান পিতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের বসতবাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাড়ির পিছনে জেনারেটর রুমে মাঠির নিচ থেকে বস্তাবন্ধি অবস্থায় অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৫০ হাজার ইয়াবা,দেশীয় তৈরী ৪টি অস্ত্র,২৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

ওসি প্রদীপ আরো বলেন, মাদক পাচার প্রতিরোধ ও কারবারীদের নির্মুল করার জন্য টেকনাফ সীমান্তে পুলিশের মাদক বিরুধী চলমান যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অত্র এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারীরা দিশেহারা হয়ে পড়ে।
অনেক ইয়াবা পাচারকারী এই কঠোর অভিযান থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য আত্মসমর্পন করে। আবার অনেকেই সু-কৌশলে পাড়ি দেয় বিদেশে। সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী চেয়ারম্যান শাহজাহান ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় যশোর বেনাপোল সীমান্তে পুলিশের জালে ধরা পড়ে।

তিনি জানান,ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করার প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে গত বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে আত্মসমর্পনকারি ১০২ জনের সাথে আত্মসমর্পন করেন টেকনাফ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাফর আহমদের ছেলে ও গ্রেপ্তার শাহজাহান মিয়ার বড় ভাই দিদার মিয়া।