টেকনাফে ইয়াবা ব্যবসায়ীর তালিকা পুঁজি করে নিরীহ লোকজনকে হয়রানী ও বাণিজ্যের অভিযোগ

শাহীন মাহমুদ রাসেল :

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের লেদা গ্রামে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নতুন তালিকাকে পুঁজি করে ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণকারা নুরুল হুদা মেম্বারের অন্যতম সহযোগী আব্দুস শুক্কুর ও ইসমাইল মিস্ত্রির বিরুদ্ধে নিরীহ লোকজনকে হয়রানী ও বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকার সর্বত্র ইয়াবার নতুন তালিকা তৈরীর আতঙ্কে সাধারণ মানুষের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। হয়রানি থেকে রেহাই পাচ্ছে না রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পাশাপাশি ব্যবসায়ী, চাকুরিজীবী। প্রতিদিন নিরীহ মানুষকে ইয়াবার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার বিভিন্ন হুমকি দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, টেকনাফে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা আত্মসমর্পণ করার পর থেকে এলাকার ব্যবসায়ী ও স্বচ্ছল ব্যক্তিদের বাছাই করে ইয়াবার নতুন তালিকা তৈরী ও মামলার হুমকি দেয়া হচ্ছে। আব্দুস শুক্কুর ও ইসমাইল মিস্ত্রি মনগড়া নানা অভিযোগ এনে টাকা আদায় করে যাচ্ছে। কেউ দাবিকৃত টাকা দিতে না পারলে তালিকায় নাম ঢুকিয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে ওরা। তারা দুজনে লেদা গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে ইসমাইল মিস্ত্রি ও মৃত, হামিদ আলীর ছেলে আব্দুস শুক্কুর।

ইয়াবার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি হোক এটা এলাকাবাসির কাম্য, তবে প্রশাসনকে মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে নিরীহ লোকজনকে ক্রসফায়ার কিংবা হয়রানীর ঘটনায় এলাকাবাসিকে ভাবিয়ে তুলেছেন।

এলাকাবাসী সঙ্গে কথা বলর জানা যায়, অভিযুক্ত আব্দুস শুক্কুর ও ইসমাইল মিস্ত্রির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে, যার মধ্যে গত ইউপি নির্বচনে পুলিশ উপর হামলা কারার কারণে এসআই কেফায়েত বাদী হয়ে আব্দুস শুক্কুরসহ বেশ কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। জিআর নং-১১১/২০১৬। অপরদিকে নুরুল হুদা মেম্বারের বড় ভাই নুর মোহাম্মদ র‍্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মামলার আসামি ইসমাইল মিস্ত্রি। শুধু তাই নয়, তারা দুজনেই ইয়াবা ব্যবসায়ী, এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করা (বতর্মানে কারাগারে থাকা) নুরুল হুদা মেম্বারের রেখে যাওয়া ইয়াবা ব্যবসার দেখভাল করেন বলে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি বলেন, আব্দুস শুক্কুর ও ইসমাইল মিস্ত্রি তারা দুজন মুলত ইয়াবা ব্যবসায়ী, আত্মসমর্পণকারা নুরুল হুদা মেম্বারের সহযোগী হিসেবে এতদিন কাজ করেছে, বর্তমানে সে জেলে থাকার কারণে তার রেখে যাওয়া ইয়াবা ব্যবসার ধারক-বাহক হয়ে কাজ করছে তারা।

এবিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুস শুক্কুর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আপনারা তদন্ত করে দেখেন। টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার বলেন, এবিষয়ে আমি আগে জানতাম না, তাদের নাম ঠিকানা চেয়ে তিনি সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।

এদিকে নিরীহ লোকজনকে হয়রানী কখনো কাম্য নয়। প্রকৃত দোষীরা গ্রেফতার ও তাদের শাস্তি হোক এটা সবার কাম্য, কিন্তু নিরীহ কোন মানুষ যাতে আব্দুস শুক্কুর ও ইসমাইল মিস্ত্রি ভুল তথ্যের ভিত্তিতে হয়রানীর শিকার না হয় সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসি।