টেকনাফে র‍্যাবের সাথে ‘গুলাগুলিতে’ ক্যাম্প লুট ও আনসার কমান্ডার হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হোতা নিহত

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল

টেকনাফে র‌্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে আনসার ক্যাম্প হামলাকারী, অস্ত্র ও বুলেট লুট মামলার আসামী, কথিত আরসা কমান্ডার ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণকারী ডাকাত সর্দার ডাকাত নুর আলম ওরফে কমান্ডার জুবাইর বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে বিদেশী পিস্তল ও বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর অতিষ্ঠ রোহিঙ্গা ও স্থানীয় সাধারণ মানুষ সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠে এবং মিষ্টি বিতরণ করেন।

জানা যায়, ২২ ফেব্রুয়ারী সকাল ভোর সাড়ে ৫টারদিকে উপজেলার দমদমিয়া ১৪নং ব্রীজ সংলগ্ন বেত বাগান এলাকায় র‌্যাব-১৫ এর টেকনাফ ক্যাম্পের কমান্ডার লেঃ মির্জা শাহেদ (পিপিএম,বার) বিএন এক্স এর নেতৃত্বে র‍্যাব-১৫ সদস্যদেরএকটি চৌকশ দলের সাথে কুখ্যাত ডাকাত দলের সাথে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। র‌্যাবের গুলিবর্ষণে নিরুপায় হয়ে ডাকাত দল পিছু হটে যায়।

ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ২টি বিদেশী পিস্তল, ১৩ রাউন্ড বুলেটসহ নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের এইচ বল্কের এমআরসি নং-৩৪৮৮১, শেড নং-১২৩০, ৬নং রোমের বাসিন্দা মৃত হোসেন প্রকাশ লাল বুইজ্জার পুত্র ডাকাত নুরুল আলম (৩০) এর মৃতদেহ উদ্ধার করে। লেদা রোহিঙ্গা বস্তির সভাপতি ও নিহত নুর আলম ডাকাতের মামা মাষ্টার আব্দুল মতলব লাশ সনাক্ত করেন।

মৃতদেহ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।র‍্যাব-১৫ টেকনাফ ষ্টেশন কমান্ডার লেঃ মির্জা শাহেদ মাহতাব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে কুখ্যাত ডাকাত সর্দার, নিহত নুরুল আলম ডাকাত প্রকাশ জুবায়ের বিগত কয়েক বছর আগে একজন আনসার কমান্ডারকে খুন করে আনসার ক্যাম্পে রক্ষিত অস্ত্র ও গোলা বারুদ লুট করাসহ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অপরাধের রাজত্ব কায়েম করে আসছিল সে।

অবশেষে তার নিহত হওয়ার খবর শুনে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকাসহ টেকনাফ উপজেলার সাধারণ মানুষ উল্লাসে ফেটে পড়ে। তার মৃত্যুর খবরে অনেকেই মিষ্টি বিতরণ করছে খবর পাওয়া যাচ্ছে।