মেরিন ড্রাইভে র‍্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাবরাং ও রামুর দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত

গিয়াস উদ্দিন ভূলু, কক্সবাজার জার্নাল :

কক্সবাজারের টেকনাফে র‌্যাব-২ এর স্পেশাল টিমের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই মাদক কারবারি গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। নিহত হয়েছেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে  ৬ হাজার ইয়াবা, বিদেশী অস্ত্র, ৩০০ বোতল ফেনসিডিল ও পাচারকারীদের বহনকারী একটি গাড়ী জব্দ করা হয়। উক্ত ঘটনায় র‍্যাবের ৪ সদস্যও আহত হয়েছে।

তথ্য সুত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ র‌্যাব-২ এর একটি চৌকষ দল ২৯ জুলাই ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেরিন ড্রাইভ সড়কে মাদক উদ্ধার অভিযানে আসে। এসময় মাদক কারবারী দলের সদস্যরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে র‌্যাবের ৪জন সদস্য আহত হয়। র‌্যাব সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর গুলিবর্ষণকারীরা সু-কৌশলে পালিয়ে যায়।

তারপর ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ৩০০ বোতল ফেন্সিডিল, ৪ হাজার ইয়াবা,একটি বিদেশী পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলিসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। এরপর চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা দুইজন মারা যায়।

নিহতরা হচ্ছে,সাবরাং ইউনিয়ন লেজির পাড়া এলাকার বশির আহমদের পুত্র আব্দুর রহমান (৪২) ও রামু উপজেলার খুনিয়া পালং’র পূর্ব গোয়ালিয়া পাড়ার কবির আহমদের পুত্র ওমর ফারুক (৩১)।

অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব-২ এর স্পেশাল টিমের প্রধান ও পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী কক্সবাজার জার্নালকে জানান গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়া দুই জনের বিরুদ্ধে মাদক মামলাসহ ৮-৯ টি মামলা রয়েছে। মাদক কারবারে জড়িত এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে টেকনাফ থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবা সরবরাহ করে আসছিল। এই গ্রুপের বেশ কয়েকজন সদস্য বিভিন্ন সময়ে র‌্যাব- ২ এর হাতে আটক হয়েছিল। একপর্যায়ে তাদের গতিবিধি লক্ষ্য করে র‍্যাব সদস্যরা টেকনাফে অভিযানে আসে। অবশেষে বন্দুকযুদ্ধের এই ঘটনাটি সংঘটিত হয়।