ফিশিং ট্রলার জব্দ

১ লক্ষ ইয়াবাসহ ১১ রোহিঙ্গা আটক: জেলেদের মাধ্যমে মাদকের চালান আনছে কারা?

গিয়াস উদ্দিন ভূলু,কক্সবাজার জার্নাল :

টেকনাফে কোস্টগার্ড সদস্যরা গভীর সাগরে অভিযান চালিয়ে এক লাখ পিস ইয়াবা, ১টি ফিশিং ট্রলার ও ১১জন মিয়ানমার নাগরিককে আটক করেছে।

জানা যায়, ২১ ফেব্রুয়ারী ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড টেকনাফ সিজি ষ্টেশনের কমান্ডার ফয়েজুল ইসলাম মন্ডল (বিএন,এক্স) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি দল সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ছদ্মবেশে অবস্থান নেয়। ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মিয়ানমার হতে একটি ট্রলার বাংলাদেশ জলসীমায় প্রবেশ করতে দেখে ধাওয়া করে আয়ত্বে নেওয়া হয়।

এরপর ট্রলারটি তল্লাশী করে ১লাখ ইয়াবা ও মাদক পাচারে জড়িত ১১ জন মিয়ানমার নাগরিকে একটি ফিশিং ট্রলারসহ আটক করা হয়েছে। আটকৃতরা সবাই মিয়ানমার আকিয়াব জেলার মন্ডু থানার বুচিদংয়ের মইন্যা পাড়া এলাকার।

তারা হচ্ছে, যথাক্রমে, আবু বক্করের পুত্র কবির আহাম্মদ (৩৫), মৃত হাবিবুল্লাহর পুত্র মোঃ নবী (২০), করিম উল্লাহর পুত্র আমান উল্লাহ (১৮) , মৃত হাবিব উল্লাহর পুত্র তারেক উল্লাহ (১৪), মৃত মোঃ শাকেরের পুত্র কামাল উদ্দিন (২০), আবু তাহেরের পুত্র মোঃ ছাবের (১৮), মৃত আবু তাহেরের পুত্র মোঃ রিয়াজ (১৪), হাফেজ আহমদের পুত্র মোঃ শাকের (১৬), নুর মোহাম্মদের পুত্র মোঃ ফয়সাল (১৬) ,আব্দু শফির পুত্র রহমত উল্লাহ (১৯) ও শামসুদ্দিনের পুত্র মোঃ রিয়াজ উদ্দিন (১৮) সর্ব মোট ১১জন মিয়ানমার নাগরিককে আটক করতে সক্ষম হয়।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মাদক আইন ও অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে মামলা দায়ের করার জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।

এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ কোস্টগার্ড ষ্টেশন কমান্ডার ফয়েজুল ইসলাম মন্ডল জানান,২০ ফেব্রুয়ারী বিকালে গোপন সংবাদে জানতে পারি মিয়ানমার একটি ইয়াবা চালান বাংলাদেশ জলসীমা অতিক্রম করে টেকনাফ উপকুলে অনুপ্রবেশ করবে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অবশেষে ২১ ফেব্রুয়ারী ভোর রাত ৪টা ১০ মিনিটের সময় আমাদের সদস্যরা ১ লক্ষ ইয়াবাসহ মাদক পাচারে জড়িত ১১জন মিয়ানমার নাগরিক আটক করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি আরো জানান,মাদক পাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সৈনিকদের চলমান অভিযান আরো জোরদার করা হবে। পাশাপাশি তথ্য অনুসন্ধান চলছে, মাছ শিকার ও বৈধ ব্যবসার আড়ালে থাকা মাদক কারবারীদের খুব শীঘ্রই আইনের আওয়তাই নিয়ে আসা হবে।

এদিকে বাংলাদেশ সরকারের মাদক বিরোধী চলমান অভিযানের মধ্যেও মাছ শিকার করার আড়ালে অসহায় জেলেদের মাধ্যমে ভদ্রতার মুখোশ পরে কারা মিয়ানমার থেকে এখনো মাদকের চালান নিয়ে আসছে। সেই সমস্ত আড়ালে থাকা ইয়াবা কারবারে জড়িত অপরাধীদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে কঠোর আইন প্রয়োগ করার দাবী করছে অত্র এলাকার সাধারন মানুষ।