সাইফুল ইসলাম,কক্সবাজার জার্নাল ◑
পর্যটন শহর কক্সবাজারের সড়ক জুড়ে মরণ ফাঁদ সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও ড্রেন ভরাট, আবার কোথাও নেই গভীর ড্রেনের উপর স্ল্যাব। সবমিলেই কোন ধরণের বোঝার উপায় নেই কোনটি ড্রেন, আর কোনটি নালা। এর সাথে যুক্ত হয়েছে ভরাট ড্রেনের ফলে প্রধান সড়কে পয়:নিষ্কাশনের দূর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি। এতে দিন দিন মারাতœক দূর্গেন্ধে পর্যটন শহরের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে।
এদিকে কক্সবাজার শহরের গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট লালদিঘীস্থ ইডেন গার্ডেনের সামনে সড়কের পাশে ছোট্ট একটি নালা। নালাটি অনেক পূর্বেই ভরাট হয়ে গেছে। এরই মাঝে আবার দীর্ঘদিন ধরে নালার উপরে ¯স্ল্যাব না থাকায় একেকটি গর্ত যেন একেকটি মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ওই স্থানে অন্তত ১০ টিরও অধিক গর্ত রয়েছে। যেকোন মুহুর্তে ওই গর্তে বড় ধরণের দূর্ঘটনার শংকা রয়েছে। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন স্থানে নালার উপর ¯স্ল্যাব না থাকায় মরণ ফাঁদ সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ইডেন গার্ডেনের সামনে নালার উপরে প্রায় ১০ থেকে ১২ গর্তে রয়েছে। একেকটি গর্ত যেন একেকটি মৃত্যুর ফাঁদে পরিনত হয়েছে। এছাড়াও প্রধান সড়ক সংলগ্ন বার্মিজ মার্কেটে পাশে ৫ টি গর্ত, পিটিস্কুল বাজারের সামনে প্রায় ৮টির অধিক গর্তে তৈরী হয়েছে।
ইডেন গার্ডেনের পাশে তুরি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সুমন বলেন, এই গর্তগুলো দীর্ঘদিনের সমস্যা। কিছুদিন আগে এক বৃদ্ধা বয়স্ক ভাতার জন্য সোনালী ব্যাংকে আসে। ব্যাংক থেকে যাওয়ার পথে অসাবধানতা বসত গর্তে পড়ে পা ভেঙ্গে যায়। এভাবে প্রতিদিন কেউ না কেউ গর্তে পড়ে হাত পাত ভেঙ্গে যায়। এতে মানুষের নানা ধরণের দূভোর্গ সৃষ্টি হচ্ছে। তবে একদিকে যেমন চলাচলে ঝুকি রয়েছে অন্যদিকে দূগর্ন্ধ ছড়াচ্ছে।
এই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে দিয়ে প্রতিদিন নিয়ে চলাচল করে আদালতে আসা হাজারো মানুষ। যাতায়াত করার সময়ে যেকোন মুহুর্তে বড় ধরণের দূর্ঘটনার শংকা রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
আরো বেশ কয়েজন দোকানদার বলেন, কয়েকদিন পূর্বে রেজিয়া বেগম নামের এক মহিলা আদালতে মামলা করতে এসে বাড়ি যাওয়ার পথে ইডেন গার্ডেনের নিচে ওই সব গর্তে পড়ে পা মুচড়ে গেছে। পাশাপাশি হাতও ভেঙ্গে যায়। পরে পাশের দোকানদার করিম নামের এক ব্যক্তি দ্রæত এসে গর্তে থেকে তাকে উদ্ধার করে দ্রæত সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। একই ভাবে কিছুদিন আগে করিম নামে এক ব্যক্তি তার মোটরসাইকেল নিরাপদ স্থানে রাখতে গিয়ে গাড়িটাসহ সে গর্তে পড়ে মারাতœক জখম হয়। ওই গর্তে যেকোন মুহুর্তে বড় ধরণের শংকা রয়েছে। এছাড়াও পৌর শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে এবং প্রধান সড়কের পাশে নালার উপরে ঢাকনা না থাকায় মৃত্যুর কোপে পরিনত হতে দেখা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সোনালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সোনালি ব্যাংকের নীচে প্রায় ১০ টি মতো গর্তে পরিনত হয়। এই গর্ত যেন মরণ ফাঁেদর মতো। দ্রæত সময়ে এসব নালার উপরে ঢাকনা না দিলে বড় ধরণের দূর্ঘটনা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। পাশিপাশি ওই স্থানে ঢাকনাসহ নালা পরিস্কার না করলে এলাকায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
এসব নালার গর্তে পড়ে প্রতিদিন কোন না কোন ভাবে আহত হচ্ছে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।
এ অবস্থার কারণে প্রতিদিন শত শত যানবাহনসহ পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এবিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যাথাও নেই। দেখেও না দেখার ভান করে থাকে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুল আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-