কক্সবাজারে ইয়াবা কারবারির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক •

কক্সবাজারে মাদক মামলায় হাফেজ উল্লাহ (৫০) নামে এক ইয়াবা কারবারিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

একই মামলায় ২ হাজার ৮০০ পিস ইয়াবা পাচারের দায়ে ওসমান গনি (৩৫) নামে এক রোহিঙ্গাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী দেলোয়ার হোসাইন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর বিকেল ৪টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার হিলটপ হোটেলের সামনে রাস্তায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম অভিযান চালিয়ে টেকনাফের সেন্টমার্টিনের কোনারপাড়ার মৃত মোহাম্মদ হোছাইনের ছেলে হাফেজ উল্লাহ এবং মিয়ানমারের আকিয়াবের চামতলীর আনু মিয়ার ছেলে ওসমান গনিকে আটক করে। পরে আটক হাফেজ উল্লাহর কাছ থেকে ছয় হাজার এবং রোহিঙ্গা ওসমান গনির কাছ থেকে ২ হাজার ৮০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের টেকনাফ অস্থায়ী সার্কেলের উপ-পরিদর্শক মো. নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে আটক ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একইদিন টেকনাফ থানায় মামলা করেন। মামলাটি বিচারের জন্য অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হলে বিজ্ঞ বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বিচারের জন্য মামলাটির চার্জ গঠন করেন। মামলাটিতে ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। মামলায় আলামত প্রদর্শন, রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন পর্যালোচনা, আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান, উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনসহ সব বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুল্লাহ আল মামুন ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) এর ১০ (গ) ধারায় আসামি হাফেজ উল্লাহ এবং একই আইনের (খ) ধারায় আসামি রোহিঙ্গা ওসমান গনিকে উপরোক্ত সাজা দেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাফেজ উল্লাহ পলাতক রয়েছেন। অপর আসামি রোহিঙ্গা ওসমান গনি রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ।