বন্দুকযুদ্ধে নিহতদের সংখ্যা বেড়েই চলছে!

টেকনাফে বৈধ ব্যবসার আড়ালে ইয়াবা কারবারে জড়িত এরা কারা?

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,টেকনাফ

ফাইল ছবি


সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ সড়ক পথ ব্যবহার করে মিয়ানমারের উৎপাদিত মরননেশা ইয়াবা পাচার এখনো অব্যাহত রয়েছে আড়ালে থাকা ইয়াবা কারবারে জড়িত মুলহোতারা।

তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায় টেকনাফ উপজেলার অনেক চিহ্নিত মাদক কারবারীরা তাদের অপকর্ম বন্ধ করে দিলেও আড়ালে থাকা অনেক ভদ্রবেশী মাদক কারবারী তাদের বৈধ ব্যবসার আড়ালে আইন-শৃংখলা বাহিনীর চোঁখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে চালিয়ে যাচ্ছে ইয়াবা পাচার। এই পাচার কাজে সক্রিয় ভাবে জড়িত রয়েছে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা অর্থলোভী মাদক পাচারকারীরা। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহনের মাধ্যমে টেকনাফ সড়ক পথ ব্যবহার করে পাচার করছে লক্ষ লক্ষ ইয়াবা।

এদিকে মাদক পাচার প্রতিরোধ ও কারবারীদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য সরকার সংশ্লিষ্ট আইন-শৃংখলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশ প্রদান করেছে। এরপর বিগত ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে সারা বাংলাদেশে মাদক পাচার প্রতিরোধ ও কারকারীদের দমন করার জন্য শুরু হয় সাঁড়াশী অভিযান। এই অভিযান বাস্ততবায়ন করার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে। এতে বিগত কয়েক মাসের মধ্যে সারাদেশে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে প্রায় ৩শত মাদক কারবারী নিহত হয়েছে। এর মধ্যে মাদক কারবারে জড়িত থাকার অপরাধে টেকনাফ উপজেলা থেকে নিহত প্রায় ২৫ জন, মাদক কারবারী নিহত হয়েছে। পাশাপাশি এই সমস্ত অভিযানে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও ইয়াবা।

সেই সুত্র ধরে ৮ জানুয়ারী গভীর রাতে টেকনাফ দমদমিয়া ১৪নং ব্রীজ এলাকায় র‍্যাব-৭ টেকনাফ সদস্যদের অস্থায়ী চেকপোষ্টের সামনে র‍্যাবের সঙ্গে মাদক পাচারকারীদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। উক্ত ঘটনায় মাদক পাচারে জড়িত দুইজন নিহত হয়।! র‍্যাবের তথ্য সুত্রে জানা যায়,
সোমবার (৮ জানুয়ারি) গভীর রাত আড়াই টার দিকে টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়ন দমদমিয়া ১৪ নং ব্রীজ এলাকায় অস্থায়ী চেকপোষ্টে যানবাহন তল্লাশী করার এক সময়ে টেকনাফ শহর থেকে আসা একটি কাভার্ডব্যান তল্লাশী করার জন্য থামাতে বললে উক্ত গাড়ীতে থাকা মাদক পাচারকারীরা র‍্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। আত্বরক্ষার্থে র‍্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। এরপর পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রনে এনে র‍্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল তল্লাশী করে গুলিবিদ্ধ ২টি মৃতদেহ, ৪০ হাজার ইয়াবা, ১টি বিদেশী পিস্তল,১টি ওয়ান শুটারগান,ও ১২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় র‍্যাব। বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যাক্তিরা হচ্ছে, বাগের হাট চিতলমারী উপজেলার বড় বাড়িয়া গ্রামের মোঃ ইব্রাহীম শেখের পুত্র সাব্বির হোসেন (২৫) ও ঢাকা সাভার নগর কুন্ডা এলাকার আবদুল মতিনের পুত্র হাফিজুর রহমান (৩৫)।

এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ র‍্যাব-৭ কোম্পানি কমান্ডার এএসপি মোঃ শাহ আলম। তিনি জানান,চলো যাই যুদ্ধে” মাদকের বিরুদ্ধে এই শ্লোগান বুকে নিয়ে মাদক পাচার প্রতিরোধ ও মাদক কারবারে জড়িতদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য আমাদের র‍্যাব সদস্যদের মাদক বিরোধী চলমান যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।