মিঠাছড়িতে রহিম উদ্দিনের নেতৃত্বে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, অভিযোগ স্থানীয়দের

সাইফুল ইসলাম,কক্সবাজার জার্নাল

চেইন্দা লারপাড়া এলাকায় এভাবে অবৈধভাবে ছরা থেকে বালু উত্তোলন করে স্তুপ করে রাখা হয়।

 রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের (৮নং ওয়ার্ড) চেইন্দা লারপাড়া সুইচ গেইট সংলগ্ন দক্ষিণ পাশের ছোট্ট ছরা থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। এভাবে প্রকাশ্যে দিনে-রাতে অবৈধভাবে ড্রেজার মিশন দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ খরুলিয়া এলাকার আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে। এতে একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে ঝুঁকির মুখে পড়ছে পরিবেশ ও হাজারো পরিবার।

একই এলাকার নুর আহমদ নামে এক ব্যক্তির অভিযোগ, রহিম উদ্দিনের বাড়ি খরুলিয়া হলেও তাঁর নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ মিঠাছড়ি এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাব বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। এর কারণে ছরার আশপাশের রেজিষ্ট্রিভুক্ত জায়গা বিলীনসহ পাহাড় ভেঙ্গে যাচ্ছে। তিনি নাকি উক্ত ছরাটি বালু উত্তোলনের জন্য লীস নিয়েছে। এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার শত শত লোকের একই অভিযোগ। সরজমিনে দেখা যায়, ১০ থেকে ১২ জন লোক দিয়ে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু তুলে জমিনের মধ্যে মজুত করে। পরবর্তীতে ডাম্পার ও ট্রাক বোঝাই করে এই বালু অন্যত্র সরবরাহ করা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রহিম উদ্দিনের নেতৃত্বে বাঁকখালী নদীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোনের কয়েকটি সিন্ডিকেট রয়েছে। দীর্ঘদিন দিন ধরে আব্দুর রহমান এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এই ড্রেজার মেশিন দিয়েই নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে রাত-দিন বালু অন্যত্র পাচারও করা হচ্ছে। আবার ভারী যানবাহন দিয়ে বালু নিয়ে যাওয়ায় ঐ কাঁচা সড়কটির স্থায়ীত্ব নষ্ট হওয়া ছাড়াও চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। কিন্তু প্রশাসন রহস্যজনক কারণে তাঁর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

তাদের কারনে চলতি বর্ষা মৌসুমে যে কোন সময় পাড় ধ্বসে পড়ে শতশত মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ার পাশাপাশি প্রাণহানীসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। অবৈধভাবে ড্রেজিংয়ের সাহায্যে বালি উত্তোলণ ইতিমধ্যে বন্ধের পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
এ বিষয়ে রহিম উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বালু উত্তোলনের লীস নিয়েছে। তাই বালু উত্তোলন করছি। আমার বিরুদ্ধে নিউজ করলে কিছ্ইু হবে না বলে ফোন কেটে দেন।

এ ব্যাপারে দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ ভুট্টো জানান, এভাবে ছরা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কথা শুনেছি। তবে এ ছরাটি লীস নিয়েছে কিনা তা তিনি জানেন না।
এ বিষয়ে তুলাবাগান রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান লীস নিয়েছে কিনা তা অবগত নয়। যদি লীস না নিয়ে থাকে তাঁর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রামু উপজেলার নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) লুৎফুর রহমান জানান, যদি লীস না নিয়ে বালু উত্তোলন করে থাকে। বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।