অনুমতি বিহীন যত্রতত্র বহুতল ভবণ নির্মাণের কাজ থামছে না

সাইফুল ইসলাম, কক্সবাজার জার্নাল

কক্সবাজার শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন জায়গায় যত্রতত্র অনুমতি বিহীন অসংখ্যা বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কিংবা পরিবেশ অধিদপ্তর মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকলেও কোনভাবেই থামছে না এসব ভবন নির্মাণের কাজ।

এমনকি কোন কোন জায়গায় পাহাড় কেটে সরকারী জমিতেও ভবণ নির্মাণের কাজ অব্যাহত রয়েছে। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মাঝে মধ্যে ভবণের মালিককে জরিমানা ও নোটিশ দিয়ে থাকলেও ফের তারা কিভাবে ওই ভবণ নির্মাণ করতে পারে এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের। অনেকেই কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে যত্রতত্র বহুতল ভবণ নির্মাণ করে যাচ্ছে। অনেকেই আবার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। অনেক ভবনের মালিক কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অফিসে ফাইল প্রসেসিং রয়েছে কাজ করে যাচ্ছে।

তাছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণের প্রচলিত আইন মোতাবেক এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এর কারণে একদিকে যেমন পর্যটন নগরী হিসেবে পরিবেশ সৌন্দর্যহীন হয়ে পড়ছে অন্যদিকে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে পাহাড়ের নিচে বসবাসকারী অনেক পরিবার।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, শহরতলীর সদর উপজেলার উত্তর পাশের্^ উত্তর হাজীপাড়া, উপজেলার পেছনে পশ্চিম হাজীপাড়া, দক্ষিণ সাহিত্যিকা পল্লীর বিভিন্ন অলিগলিতে, বাসটার্মিলের পশ্চিম ও উত্তর পাশের্^, ঘোনার পাড়া, লারপাড়া, আলিঁরজাহাল, কলাতলীর আশপাশে, পাহাড়তলী, গোদার পাড়া ও টেকপাড়ার অলিগলিতেসহ বিভিন্ন জায়গা বহুতল ভবণের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে অনুমতি বিহীন।

এদিকে উপজেলার উত্তর পাশের্^ অনুমতি বিহীন বহুতল ভবন নির্মাণকারী আব্দুর রহিমের কাছে অনুমতির কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অফিসে ফাইল জমা দিয়েছি। অথচ আমার মাত্র একটি ভবন, বাকী দুই আমার ভাই আব্দুল করিম ও আব্দু গফুরের। বর্তমানে ফাইল প্রসেসিং রয়েছে। এভাবে অসংখ্য ভবনের মালিক একই কথা বলে থাকে। এসব যত্রতত্র ভবনের কারণে পর্যটন নগরী কক্সবাজার ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি সড়কের পাশেও যত্রতত্র অনুমতি বিহীন ভবন ও সাইন বোর্ডের কারণেও সৌন্দর্য হারাচ্ছে।

জানা যায়, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া বহুতল ভবন নির্মাণ কক্সবাজারের ঐতিহ্য ও পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরুপ দাড়াঁচ্ছে। যারা পাহাড় কেটে ও সরকারী জায়গায় অনুমতি বিহীন ভবণ নিমার্ণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশ অধিদপ্তর পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অফিস সূত্রে জানা যায়, যারা অনুমতি বহুতল ভবন নির্মাণ করে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এমনকি অনেকে ভবনের মালিক নোটিশও দেয়া হয়েছে।