নুর হোসেন চেয়ারম্যানের অব্যাহতি চেয়ে জব্দকৃত টাকার মালিক দুই গরু ব্যবসায়ীর ব্যাখ্যা

বার্তা পরিবেশক •

কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি কর্তৃক মামলা থেকে নুর হোসেন চেয়ারম্যানকে অব্যহতি চেয়ে প্রকৃত জব্দকৃত টাকার মালিক দুই গরুর ব্যবসায়ী ব্যাখা দিয়েছেন সংবাদকর্মীদের কাছে।

বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফের সাবরাংয়ে বাজারে একটি কক্ষে এ দাবি জানান প্রকৃত টাকার মালিক গরু ব্যবসায়ী মো. কামাল ও মো. পুতু।

গরু ব্যবসায়ী মো. কামাল ও মো. পুত জানান, আমরা দীর্ঘ দিন ধরে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ করিডোরে গরু ব্যবসা করে আসছি। তারই অংশে গত ২৬ ও ২৭ মার্চ টেকনাফের জাদিমুরার আমির হোসেন নামক এক ব্যবসায়ীকে কিছু গরু বিক্রি করি। ওই গরুর টাকা গত ৩০ মার্চ দুপুরে জাদিমুরা গরু ব্যবসায়ী আমির হোসেন-এর সমস্যা থাকায় তার সিএনজির চালক ভাগনি জামাতার মাধ্যমে আমাদের কাছে পাওনা নিয়ে আসার সময় দমমিয়া বিজিবির চেকপোস্টে টাকাগুলো আটক করে তাদের ব্যাটলিয়নে নিয়ে যায়। পরে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেনকে অবহিত করি। অনেক অনুরোধের পর চেয়ারম্যান আমাদেরকে গরু ব্যবসায়ী হিসেবে মৌখিক ও লিখিত সুপারিশ করেন বিজিবির কাছে। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক দিনের মত সত্য ঘটনা হল আমাদের জন্য সুপারিশ করতে গিয়ে উল্টো মামলার আসামি হয়েছে চেয়ারম্যান। যা অত্যন্ত দূ:খজনক, আমরা এ ঘটনায় সুষ্টু তদন্ত দাবি করে নির্দোষ চেয়ারম্যানকে মামলা থেকে অব্যাহতির অনুরোধ জানাচ্ছি।

এসময় চেয়ারম্যান নুর হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, গত ৩০ মার্চ বিকেলে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের ডেইল পাড়া গ্রামের যুগ যুগ ধরে গরু ব্যবসায়ী মো. কামাল ও পুতুর ০১৮৫৯৬৭৮৬১২ নম্বার ফোন থেকে আমাকে জানায় হ্নীলার জাদিমুরার গরু ব্যবসায়ী আমির হোসেন এক সিএনজি চালক ও সহযোগির মাধ্যমে তাদের কাছে গরু বিক্রির পাওনা টাকা পাঠানোর সময় দমদমিয়ার চেকপোষ্টে টাকাগুলো জব্দ করে ব্যাটলিয়নে নিয়ে যায়। পরে তাদের অনুরোধে সেখানে পৌছে বিজিবি কর্মকর্তা আউওয়ালকে মো. কামাল ও মো. পুতু গরু ব্যবসায়ী বলে মৌখিক এবং লিখিতভাবে জানিয়ে চলে আছি। পরেরদিন ৩১ মার্চ কয়েকটি অনলাইনে জানতে পারি এ টাকার মামলায় আমাকে পলাতক আসামি করা হয়েছে, যা দেখে আমি নিজেই বিব্রত ও হতভাগ।

কিন্তু আমি উক্ত টাকা মালিক নই। শুধু মাত্র উপরুক্ত গরু ব্যবসায়ীর বিক্রির টাকার জন্য সুপারিশ করেছি। তাছাড়া আমি কোন দিন কোন খারাপ মানুষদের জন্য কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে কোনদিন সুপারিশ করেনি।’

তিনি জানান, ‘দেশের সাধারন মানুষ এবং প্রকৃত গরু ব্যবসায়ীদের জন্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে সুপারিশ করতে গিয়ে মিথ্যা মামলার স্বীকার হয়েছি। উক্ত মামলাটি যথাযত তদন্তপূর্বক অব্যহতি পাওয়ার আশা করছি।’