অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগীর সাথে নিয়ে আসা হচ্ছিলো ইয়াবাও

চট্টগ্রাম বুর‍্যো :

সাইরেন বাজিয়ে আসছে অ্যাম্বুলেন্স। কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে রোগী নিয়ে আসার সময় যানবাহনগুলো জায়গা করে দিচ্ছে। কিন্তু পুলিশের কাছে গোপনে খবর ছিলো সেই অ্যাম্বুলেন্সে শুধু রোগী নয়, ছিলো ইয়াবাও। সেই খবরের ভিত্তিতে শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর শাহ আমানত সেতু দক্ষিণ পাড়ে অ্যাম্বুলেন্সটির গতিরোধ করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর অ্যাম্বুলেন্সের দুই মালিককে আটক রেখে পুলিশের একজন এএসআই নিজেই অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে রোগীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পৌঁছে দেন। আর সেখানে রোগীর সিটের নিচে মিলে আট হাজার পিস ইয়াবা। আটক হওয়া দুই অ্যাম্বুলেন্স মালিক হলেন- নোয়াখালী জেলার সুধারাম উপজেলার মো. ফারুক (৩৮) ও মো. দুলাল (৪০)। মূলত অ্যাম্বুলেন্সে রোগী দেখলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সন্দেহ করবে না মনে করে ইয়াবা নির্ভাবনায় ইয়াবা নিয়ে আসছিলেন তারা।

নগর গোয়েন্দো পুলিশের এএসআই শন্তু শর্মা অভিযানের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘ফারুক ও দুলাল বৃহস্পতিবার সকালে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে নোয়াখালী থেকে কক্সবাজার যান। সেখান থেকে তারা ইয়াবা সংগ্রহ করেন। রাতে চকরিয়ার জমজম হাসপাতাল থেকে আনুমানিক ৬৫ বছর বয়সী গুরুতর অসুস্থ এক রোগীকে নিয়ে তারা চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি আগে থেকে জানা থাকায় অ্যাম্বুলেন্সটিতে তল্লাশি চালানো হয়।’ 

পুলিশের এই এএসআই জানিয়েছেন, অ্যাম্বুলেন্সটি থামানোর পর তারা সেখানে মুমূর্ষু একজন রোগীকে দেখতে পান। অ্যাম্বুলেন্স থেকে ফারুক ও দুলালকে গাড়ি থেকে নামিয়ে তিনি নিজেই অ্যাম্বুলেন্সটি চালিয়ে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যান। রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির পর অ্যাম্বুলেন্সটিতে তল্লাশি চালানোর সময় রোগীর সিটের নিচে ইয়াবা সন্ধান পাওয়া যায়। পাঁচটি প্যাকেটে ভর্তি ছিলো ইয়াবা। প্রতিটি প্যাকেটে ছিলো এক হাজার ৬০০ পিস করে ৮ হাজার ইয়াবা। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম হয়ে এগুলো নোয়াখালী নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ফারুক ও দুলালের বিরুদ্ধে নগরীর কর্ণফুলী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।