আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটে তুমব্রু সীমান্তের স্থানীয়দের

কক্সবাজার জার্নাল ডটকম রিপোর্ট :

মিয়ানমার থেকে তুমব্রু সীমান্তে আসা মর্টারশেল!

মিয়ানমারের জান্তা ও আরাকান আর্মি তথা বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান সংঘর্ষে বাংলাদেশের সীমান্তঘেষা এলাকায় আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটে স্থানীয়দের।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মর্টারশেল বাংলাদেশের ভেতরে এসে পড়ে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সৃষ্ট সংঘর্ষে দফায় দফায় মর্টার শেলের আওয়াজে আতঙ্কিত হয়ে উঠে স্থানীয়রা। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র কঠোর অবস্থান ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমে স্থানীয়দের নিরাপদে সরে যেতে বলা হয় বলে জানায় কোনারপাড়ার বাসিন্দারা।

গতকাল বুধবার দুপুরে সরেজমিনে ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্ত পরিদর্শন করেন বান্দরবান জেলা প্রশাসকও পুলিশ সুপার। এসময় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,”মঙ্গলবারের মর্টার শেল নিক্ষেপ সহ ওপারে চলমান সংঘর্ষ থেকে যে আওয়াজ এপারে এসেছে আমরা বিগতদিনে কখনো উচ্চশব্দের আওয়াজ শুনিনি। যখন মিয়ানমারে সংঘাত চলে সীমান্তঘেষা এলাকায় তা ছড়িয়ে পড়লে আমরা নিরাপদে সরে আসি। স্থানীয় চেয়ারম্যানও আমাদের নিরাপদ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে কখন যে ওপারে সংঘর্ষ শুরু হয় তা নিয়ে আমরা শঙ্কায় থাকি। সবসময় আতঙ্ক বিরাজ করে। ফলে নির্ঘুম রাত কাটে এখানকার সীমান্তে বসবাসরতদের।

বুধবার দুপুরের দিকে গোলাগুলির শব্দ শুনা গেলেও সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শান্ত ছিলো। ওপারের বিষয়ে কখন আবার সংঘর্ষ শুরু হয় সেটি নিয়ে আতঙ্কে থাকেন স্থানীয়রা। তবে সীমান্তে বিজিবি সদস্যদের টহল লক্ষ্য করা যায়। তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্র বলেন,” মিয়ানমারের গোলাগুলি হয়েছে এমন খবরে আমাদের স্কুল একটি বন্ধ ছিলো। পরে আবার নিয়মিত পাঠদান চালু হয়। আমরাও স্কুলে যায়।”

বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন,”সার্বিক বিষয় প্রশাসন মনিটরিং করছে। মিয়ানমারের এই সময়ের ঘটনায় এপারে আতঙ্ক থাকলেও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”