‘হত্যা নয়, আত্মহত্যাই করেছিল তাসফিয়া’

ডেস্ক রিপোর্ট •


হত্যা নয়, আত্মহত্যাই করেছিল কিশোরী তাসফিয়া আমিন। এমনটা উল্লেখ করে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেছে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) শাহাবুদ্দিন আহমদ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মো. ফিরোজ উদ্দীন চৌধুরী চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেছেন বলে জানান।

পিবিআই তদন্তে বলা হয়েছে, তাসফিয়া আমিন বাবা-মায়ের ভয়ে পতেঙ্গার নেভাল একাডেমিতে গিয়ে আত্মহত্যা করার জন্য নদীতে ঝাপ দেয়। পরেরদিন মৃত অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। এই মৃত্যুর জন্য ভিকটিম তাসফিয়া আমিন নিজেই দায়ী। তাসফিয়ার শরীরে যে সমস্ত বাহ্যিক ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেছে তা নদীর পানির ঢেউতে পাথরের সাথে ধাক্কা লেগে হয়েছে বলে তদন্ত ও ডাক্তারের মতামতে পাওয়া গেছে।

এতে আরো বলা হয়েছে, আসামি আদনান মির্জার সাথে তাসফিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন তাসফিয়া ড্রয়িং রুমে বসে টিভি দেখছিল। বাবা-মায়ের অনুপস্থিতির সুযোগে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। পরে বন্ধুরা খবর পেয়ে তাকে বাসায় যাওয়ার জন্য তাসফিয়া আমিনকে একটি সিএনজিতে তুলে দিয়ে অন্য সিএনজি নিয়ে চলে যায় তারা । আদনান মির্জার কল লিস্ট পর্যালোচনা করলে দেখা যায়—ঘটনার সময় আসামির অবস্থান পতেঙ্গা এলাকায় ছিল না। তাই এজাহারভুক্ত আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে সুপারিশ করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২মে পতেঙ্গার নেভাল এলাকায় নিখোঁজের একদিন পর নদীর পাড়ে তাসফিয়ার মৃত দেহ পাওয়া যায়।