আ.লীগ নেতাকর্মীদের ক্ষোভ

ঈদগাঁওতে নৌকা প্রতীক দিয়ে লোগো বানিয়ে ট্রলি ব্যবসা!

বিশেষ প্রতিবেদক
দেশের ইতিহাসের অংশীদার বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা দিয়ে লোগো বানিয়ে কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে ট্রলি ব্যবসার খবর পাওয়া গেছে। ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা শ্রমিকলীগের আহবায়ক ছোটন রাজার নেতৃত্বে ট্রলি মালিকদের একটি সংগঠন অবৈধভাবে নৌকা ব্যবহার করে লোগো বানিয়ে পরিবহণ ব্যবসা করছে।

দলীয় প্রতিকের এই অবমাননাকর ব্যবহার নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। এটা আওয়ামী লীগের প্রতীকের সাথে বড় ধরণে প্রতারণা বলে দাবি করছেন তারা। তাই আইন মতো দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার নেয়ারও দাবি উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৮ সালের শুরুর দিকে বৃহত্তর ঈদগাঁও ও আশেপাশের এলাকায় নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে ‘বৃহত্তর ঈদগাঁও টলি মালিক সমিতি’ নামে ট্রলি মালিকদের একটি পরিবহণ সংগঠন। আমজাদ হোসেন ছোটন রাজার নেতৃত্বে এই সংগঠনি যাত্রা শুরু করে। সেই থেকে তিনিই এই পরিবহণ সংঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এই সংগঠনের আওতায় ৭০/৮০টি ট্রলি রয়েছে। এগুলো বৃহত্তর ঈদগাঁওসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় নানার ধরণের মালামাল পরিবহণ করে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, সড়কসহ সর্বত্র প্রভাব বিস্তার করতে প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণের জন্যই নৌকা প্রতীক ব্যবহার করে লোগো বানিয়েছে ‘বৃহত্তর ঈদগাঁও টলি মালিক সমিতি’ নামে ওই সংগঠনটি। এভাবে আওয়ামী লীগের মতো একটি রাজনৈতিক দলের প্রতীক ব্যবহার করে বাণিজ্যিক সংগঠনের লোগো বানানো এবং ব্যবহার চরম অবমাননাকর এবং আইনপরিপন্থি। এটা আওয়ামী লীগকে ‘বিক্রি’ করে ‘ধান্ধার’ নামান্তর! আওয়ামী লীগের সুবিধীরাই এই কাজটি করেছে জানা গেছে।

স্থানীয় নেতাদের অভিযোগ, নৌকা প্রতীক দিয়ে লোগো বানিয়ে ব্যবহার করার আইনত দন্ডনীয় এবং বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের প্রতি চরম অবমাননাকর। দলের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে আর্থিক ধান্ধা করার জন্যই নামধারী কথিত দলীয় নেতারা এই অপকর্ম করেছেন। তারা দীর্ঘদিন এভাবে চালিয়ে আসলেও দলের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সংক্ষুব্ধ হয়েছেন। দ্রæত সময়ের এই ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি তাদের।

অভিযোগে ব্যাপারে জানতে চাইলে ‘বৃহত্তর ঈদগাঁও টলি মালিক সমিতি’র সভাপতি ও ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা শ্রমিকলীগের আহবায়ক আমজাদ হোসেন ছোটন রাজা বলেন, এ খবর ভিত্তিহীন, আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা দিয়ে লোগো বানিয়ে কোন ট্রলিতে ব্যবহার করা হয়নি। এইসব কোন একটি স্বার্থানেষী মহল নিজেরাই লোগো আর আমার মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে স্টিকার বানিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমার সংগঠনের ট্রলিতে কোন স্টিকার নেই।

আর ঈদগাঁওতে আমার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা দিয়ে লোগো বানিয়ে ট্রলি ব্যবসার প্রমাণ দিতে পারলে আমি যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নিব।