ঈদে ক্যাম্প থেকে বেরোতে পারবে না রোহিঙ্গারা

বিশেষ প্রতিবেদক •


মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের এবারের ঈদে ক্যাম্পের বাইরে বের হতে দেওয়া হবে না। এজন্য এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজরদারি জোরদার করেছে।

সম্প্রতি র‌্যাবসহ কয়েকটি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও স্থানীয়দের রক্ষা, মানব ও মাদক পাচার প্রতিরোধে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প এলাকা থেকে বাইরে বের হতে দেওয়া হবে না। তারা নিজেরা দ্বন্দ্ব সংঘাতে জড়িয়ে পড়া ছাড়াও চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইসহ স্থানীয় বাংলাদেশি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা করছে। ক্যাম্প এলাকায় জঙ্গি তৎপরতা নিয়েও আইন-শঙ্খলা বাহিনী উদ্বিগ্ন।

তারা আরো জানান, সেখানে স্থানীয় পুলিশের পাশাপাশি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিনটি ইউনিট, র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এরপরও রোহিঙ্গারা অপহরণ, মাদক ব্যবসা, চুরি-ডাকাতিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। জুন মাসেই সেখানে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে একাধিক অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।

কয়েকদিন আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর এক বৈঠকে র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্যরা যাতে ক্যাম্পের বাইরে বের হয়ে সমস্যার সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে র‌্যাবের সার্বক্ষণিক টহল অব্যাহত থাকবে। সাদা পোশাকে বাড়ানো হবে নজরদারি।

র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-সংঘাত বেড়ে গেছে। ক্যাম্পের ভেতরে মারামারি করছে। ক্যাম্পের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় তারা ডাকাতির চেষ্টা করে। তারা নিজেদের মধ্যে একটা গ্রুপ তৈরির চেষ্টা করছে। সেজন্য র‌্যাবের একটা প্রস্তাবনা ছিল যে রোহিঙ্গারা যাতে ক্যাম্পের বাইরে না যেতে পারে।

তিনি আরো বলেন, ক্যাম্পের বাইরে গেলে তারা স্থানীয় বাংলাদেশিদের ওপর হামলা করতে পারে। চুরি, ডাকাতি করতে পারে। সেজন্য র‌্যাবসহ সেখানে যেসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে তাদের সবার প্রতি প্রস্তাবনা ছিল রোহিঙ্গারা যাতে ক্যাম্পের বাইরে বেরোতে না পারে সেই পদক্ষেপ নেওয়া।