ঈদ আসলেই শুরু হয় বকসিসের নামে বাড়তি ভাড়ার নৈরাজ্য

শাহীন মাহমুদ রাসেল

কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন সড়কে ঈদ বকসিসের নামে চলছে বাড়তি ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য। প্রতিবাদ করায় কোথাও কোথাও যানবাহনের চালকদের কাছে যাত্রী নাজেহাল হওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।

উপজেলার বিভিন্ন সড়কে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রামু থেকে কক্সবাজার। যেখানে প্রতিজন ৩০ টাকা ভাড়া থাকলেও যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। একটু রাত হলই গুনতে হয় ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

তবে উপজেলার অন্য সড়কগুলোর অবস্থা যেমন-তেমন কিন্ত রামু-গর্জনিয়া সড়কের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। আর ওই সড়কে যাত্রীরা বাড়তি ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে যানবাহন চালকদের কাছে নাজেহাল হয়েছেন বলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। গর্জনিয়া থেকে রামু যেখানে স্বাবাভিক ভাড়া ৪০ টাকা সে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ৬০ টাকা। আর এ বিষয়ে যানবাহন চালকদের কথা ৪০ টাকার ভাড়া ৬০ টাকা গেলে যান, না গেলে বসে থাকেন।

বাড়তি ভাড়া আদায় প্রসঙ্গে গাড়ি চালক মোঃ শামিম বলেন, ঈদ এলে মালিকদের বেশি জমা দিতে হয়, তাছাড়া ফিরে আসার সময় খালি গাড়ি নিয়ে আসতে হয়, রাস্তার বিভিন্নস্থানে বাড়তি খরচ হয়। যাত্রীদের কাছে ন্যায্য ভাড়া আদায় করলে বাড়তি খরচ দিব কিভাবে। তাই যাত্রীদের কাছে বাড়তি ভাড়া আদায় করছি। কি ধরনের ভাড়তি খরচ হয় তা জানতে চাইলে সংঙ্গত কারনেই সে বিষয় এড়িয়ে যায় ঐ গাড়ি চালক।

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের সিএনজি (অটোরিক্সা) চালক বজল আহম্মদ (৪০) বলেন, বছরে দুইটা ঈদ আর এই ঈদে যাত্রীরা যদি আমাদের ৫/১০ টাকা বেশি না দেয় তবে আর কবে দিবে। তবে তাদের চাহিদা ৫/১০ টাকারর মধ্যে সিমাবদ্ধ থাকে না। সুযোগমত যে যা মত ফাঁকা করছে যাত্রীদের পকেট।

অতিরিক্ত টাকা ভাড়া বিষয়ে প্রতিবাদ করায় নাজেহাল হতে হয় নির্মাণ শ্রমিক মোঃ বিল্লাল ইসলামকে। তিনি বলেন, আমাদের আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি। তার উপর অতিরিক্ত ভাড়া আদায়। এ যেন মারার উপর খরার ঘাঁ। শিগগিরই এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক কর্তৃপক্ষের নিকট এমনটাই দাবি সাধারন যাত্রীদের।