উখিয়ার নারীদের একান্ত ভাবনা: নারীরা নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলে পুরুষরা কেন পারবে না!

হুমায়ুন কবির জুশান উখিয়া •


উখিয়ার নারীদের একান্ত ভাবনা ও প্রশ্ন এবং আগামীর পথ চলায় করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা গতকাল পালং গার্ডেনের সামনের রেস্তুরায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে সভাপতিত্ব করেন হুমাইরা আক্তার। আলোচনায় অংশ গ্রহণকারি নারী নেত্রী আয়েশা, মরিয়ম ও সাবেকুন নাহাররা বলেন,”কয়েকজন নারী জোরপূর্বক এক অসহায় পুরুষকে ধর্ষণ করে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছে। যার ফলে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে যুবকের মৃত্যু।”

এমন সংবাদ কি পৃথিবীর কোনো সংবাদ মাধ্যেমে, প্রিন্ট মিডিয়ায় ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় কখনো প্রকাশিত হয়েছে?
অবশ্যই উত্তর আসবে
না!

তারমানে কি নারীদের যৌন ইচ্ছে নেই? কোনো সুদর্শন পুরুষকে দেখলে তাদের ভেতরের যৌনতা জেগে উঠে না?

আপনারা বলবেন থাকবে না কেন? নিশ্চয়ই আছে। যৌন ইচ্ছে প্রাকৃতিক ব্যাপার। পুরুষের মতো নারীদেরও ইচ্ছে জাগে।
তাহলে নারীরা যদি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে। পুরুষরা কেন পারবে না!

তাদেরকে কি সেই মূল্যবোধ দিয়ে বড় করানো হয়নি? পারিবারিক মূল্যবোধ, ধর্মীয় মূল্যবোধ, সামাজিক মূল্যবোধ। যে নোংরা ইচ্ছে জাগলেই যেখানে- সেখানে, যখন- তখন, যাকে- তাকে, ধর্ষণ করা যাবে না কুকুরের মতো।

যৌন ইচ্ছে শরীরের ক্ষুদা। পেটের ক্ষুদা হলে আপনি নিশ্চয়উ ড্রেনের নোংরা ময়লা খান না, পকেটে টাকা না থাকলে অন্যের রেস্টুরেন্ট থেকে জোরপূর্বক খাবার চিনিয়ে খান না। শরীরের ক্ষুদা জাগলে কেন নারী দেখলে ধর্ষণ করতে হবে?

কেন আপনার নিকট আপনার কন্যা, বোন, বান্ধবী, প্রেমিকা, সহপাঠি কেউ নিরাপদ নয়। একজন ধর্ষকের পরিবার পিতা -মাতা কি সে দায় এড়িয়ে যেতে পারবেন? কেন আপনার পুত্র সন্তানটিকে শেখানো হয়নি। নারী মানে ভোগ্য বস্তু নয়। নারী মানে একখন্ড যৌনি না।

নারী মানে মা, নারী মানে বোন, নারী মানে ভালোবাসা, নারী মানে মমতা, স্নেহ। তাকে দেখলে নিজের পুরুষবৃত্তিয় লালসাকে নিয়ন্ত্রন করতে হবে। নারীরা যেমন করে নিয়ন্ত্রণ করে, পুরুষদেরও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

অনেক অনেক সুশীলদেরকে বলতে শুনছি, মেয়েটার দোষ আছে, সে কেন গেছে?
ভাবছেন বেঁচে গেছেন আপনার মেয়ে নেই?

মেয়ে না থাকলে আপনার বোন আছে, ভাগ্নি আছে, আপনি নিজে আছেন। কখন কিভাবে কোন নরপিষাচের লালসার শিকার হবেন চিন্তাও করতে পারবেন না। বা আপনার ছেলে কাকে লালসার শিকার করবে ভেবেও কুল পাবেন না।

প্লিজ ধর্ষণ মুক্ত একটা পরিচ্ছন্ন সমাজ আগামীর প্রজন্মকে উপহার দিন। পারিবারিক, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ দিয়ে আপনার সন্তানকে বড় করুন। ধর্ষকের কঠোর শাস্তির বিধান করুন। আমাদের একটু বাঁচতে দিন, মরার আগে মেরে ফেলবেন না।