উখিয়ায় ৯ম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে এখনো বই পৌঁছেনি

হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া •


উখিয়ায় ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে এখনো বই পৌঁছেনি। নতুন বছরের জানুয়ারি মাস শিক্ষা জীবন থেকে চলে গেলেও ১ টি বইও শিক্ষার্থীরা পায়নি।

গেল বছর করোনার কারণে শিক্ষার্থীরা ক্লাশ করতে না পারায় পিছিয়ে পড়েছে। এ সময় অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে বাল্য বিবাহের শিকার হয়েছেন। কোন শিক্ষার্থী যেন ঝরে না পড়ে সেজন্য সরকার কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, শিক্ষা বিস্তারে আমরা বিনা মূল্যে বই দিচ্ছি। শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়ে দিয়েছি। উচ্চশিক্ষাসহ সর্বস্তরে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। স্কুলে টিফিনের ব্যবস্থা করেছি। কোন শিক্ষার্থী যেন ঝরে না পড়ে, এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য করা হচ্ছে। তাই কোনো শিক্ষার্থী যাতে ঝরে না পড়ে সেজন্য সরকারের পাশাপাশি সবাইকে কাজ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর এই আহবানের পরও শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ছে এবং যথা সময়ে বই পাচ্ছে না এতে করে অভিভাবক মহলে ক্ষোভ বিরাজ করতে দেখা গেছে। সারা দেশে বছরের প্রথম দিন হয় বই উৎসব। নতুন বছরের নতুন বই পেয়ে শিক্ষার্থীরা আনন্দে উদ্দেলিত হয়। কিন্তু এ বছরের জানুয়ারি মাস পার হয়ে গেলেও উখিয়ার শিক্ষার্থীরা বই পায়নি। উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র তাহমিদ কবির বলেন, স্কুলে গিয়ে ভর্তি হয়েছি।

ভর্তির পর জানুয়ারি মাস চলে গেলেও আজ পযর্ন্ত একটি বইও পায়নি। তার মা খালেদা আক্তার বলেন, স্কুলে ক্লাস না থাকায় এবং ছাত্ররা বই না পাওয়ায় আমরা অভিভাবকরা চিন্তিত আগামীর ভবিষ্যৎ নিয়ে।

আরেক অভিভাবক নুরুল কবির মাহমুদ বলেন, মহাকালের চিরন্তন গতি প্রবাহে বিগত হয়ে যায় একটি বছর। নতুনের প্রতি মানুষের সব সময় থাকে বিশেষ আগ্রহ। শিশু ও শিক্ষার্থীদের থাকে নতুন বছরের নতুন মলাটের বই পাওয়ার উদ্দীপনা। আর নতুনের মধ্যেই তো নিহিত থাকে অমিত সম্ভাবনা। এখন বিগত হয়ে গেল একটি বছর। নতুন বছরের একটি মাসও চলে গেলো।

কিন্তু আমাদের সন্তানদের হাতে এখনো বই দিতে না পারা শিক্ষা ক্ষেত্রে চরম এক ব্যর্থতা বলে আমি মনে করি। আরেক অভিভাবক জুলফিকার আলী ভূট্রো বলেন, আগামীর সম্ভাবনার আলোয় আলোকিত শিক্ষার্থীদের সামনে রয়েছে আরো বড় চ্যালেঞ্জ। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত উখিয়ায় নানাবিধ সমস্যায় আমরা আছি। রোহিঙ্গাদের শরণার্থী জীবন দীর্ঘ হওয়ার মধ্যে বেড়ে ওঠা আমাদের সন্তানদের শিক্ষা জীবন নিয়ে আমরা উৎকন্ঠায় আছি।

এ ব্যাপারে উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন সিরাজি বলেন, এখনো বই আসেনি। ৯ম শ্রেণির বই আসা মাত্রই আমরা গ্রুপে ম্যাসেস দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের হাতে বই তুলে দিব। কত দিনের মধ্যে বই পাওয়া যাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বই যখনই আসবে তখনই পাওয়া যাবে।