একটি ভাসমান সেতু বদলে দিলো দ্বীপের ৪০ হাজার মানুষের চলাচলের জীবন যাত্রা!

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল •

টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের ৪০ হাজার মানুষের দীর্ঘ কয়েক বছরের চলাচলের নৌকা ব্যবহার সেই জনদূর্ভোগ কমিয়ে আনতে খালের উপর অবশেষে নির্মিত হয়েছে একটি ভাসমান সেতু।

এতে ১৩ গ্রামের ৪০ হাজার মানুষের যাতায়াতের সেই কষ্ট অনেকটা কমে গেছে। গত কয়েকদিন ধরে ভারি বৃষ্টিতে টেকনাফের নাফনদী ও উপকূল সড়ক দিয়ে শাহপরীর দ্বীপ ৪০ হাজার মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়।

এসব মানুষদের কষ্ট দুর করার জন্য অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর হোসেন তার নিজস্ব অর্থয়ানে একটি ভাসমান সেতু নির্মান করার এক মহতি উদ্যোগ হাতে নেয়।

এর আগে ২০১২ সালে জুলাই মাসে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে শাহপরীর দ্বীপ সড়কের পাঁচ কিলোমিটার অংশ জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় শাহপরীর দ্বীপের সঙ্গে টেকনাফ সদরের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নে শাহপরীর দ্বীপ সড়কে ভরাখাল নামক এলাকায় বাঁশ ও ড্রাম দিয়ে একটি ভাসমান নিমাণ সেতু দিয়ে লোকজন পারাপার করছে। এর আগে এখান থেকে নৌকা দিয়ে চলাচল করতো দ্বীপবাসি। তাদের কষ্টের কথা চিন্তা করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেনের নিজস্ব অর্থায়নে ১৩০ ফুট দৈর্ঘ্যের ও ৪ ফুট প্রস্ত ভাসমান এ সেতুটি নির্মাণে খরচ হয়েছে দুই লাখ টাকা।

দ্বীপের বাসিন্দা কেফায়েত উল্লাহ বলেন, বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় দীর্ঘ আট বছর ধরে দূর্ভোগ ছিল দ্বীপের ৪০ হাজার মানুষ। এত দিন নাফনদী ও উপকূল সড়ক দিয়ে কোন রকম চলাচল করে আসছিল। কিন্তু ভারি বৃষ্টিতে সেসব পথ দিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দ্বীপবাসিদের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়।

কিন্তু স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসন-এর উদ্যোগে নিজস্ব অর্থয়ানে একটি ভাসমান সেতু নির্মানে প্রতিদিন এ সেতু দিয়ে শত শত মানুষ যাতায়াত করছে।

এতে মানুষের কষ্ট কমেছে কিছুটা। তবে আমরা চায় পুরো সড়কটি যেন দ্রæত কাজ শেষ করে, যাতে দ্বীপবাসি টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপ সরাসরি যাতায়াত করতে পারে।’

এ বিষয়ে সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন জানান, ‘দ্বীপের ৪০ হাজার মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে নিজস্ব অর্থায়নে দুই লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ভাসমান সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এই সেতু দিয়ে এখন প্রতিদিন সহ¯্রাধিক লোক চলাচল করছে।

অনন্ত বর্ষার দিনে মানুষ চলাচল করতে পারবে। তবে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপের সড়কটি আগামী বছর জুনে শেষ হবার কথা রয়েছে।’