এক বছর পর রোহিঙ্গা নেতার লাশ উদ্ধার: আটক ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রায় এক বছর পূর্বে অপহৃত রোহিঙ্গা মাঝির গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর অপহৃত ব্যক্তির মৃত্যু রহস্য উদঘাটিত হওয়ায় ক্যাম্পের সাধারণ রোহিঙ্গাদের মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে।

এতে ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত এপিবিএন পুলিশের প্রতি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ আস্থার পরিবেশ অনেকটা বেড়ে চলেছে।

শুক্রবার রাতে ৮ এপিবিএন পুলিশ উখিয়ার ১৪ নং হাকিমপাড়া ক্যাম্পে ব্লক রেইডকালে ৩ রোহিঙ্গাকে আটক করে।

এপিবিএন পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসার মুখে আটক রোহিঙ্গারা হত্যা,অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ গুরুতর অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তাদের দেয়া তথ্য মতে প্রায় এক বছর পূর্বে অপহৃত এক রোহিঙ্গা মাঝির গলিত লাশ গতকাল শনিবার উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

অভিযানে নেতৃত্বদানকারী ৮ এপিবিএন এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রবিউল ইসলাম পিপিএম-সেবা জানান, গতকাল শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ক্যাম্প-১৪ হাকিমপাড়া ই/৩ ব্লকে ব্লক রেইড পরিচালনা করা হয়।

এসময় ঐ ক্যাম্পের উক্ত ব্লকের মোঃ সালামের ছেলে মোঃ ইসলাম (২২), কাশেমের ছেলে আব্দুল মোন্নাফ (২৬) ও মোঃ সালামের ছেলে মোঃ ইলিয়াস (২৮) আটক করা হয়।

তিনি জানান,জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারী ২১ নং চাকমারকুল ক্যাম্পের সি/৪ ব্লকের সাবমাঝি সৈয়দ আমীন (৪০) কে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে অপহরণ করে ক্যাম্প-১৪ তে নিয়ে আসে।অপহৃতের পরিবারের নিকট ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল।

আরসার দুধর্ষ সন্ত্রাসী শুক্কুর এর নেতৃত্বে ২০/২৫ জন দুষ্কৃতিকারী মিলে হত্যা করে ক্যাম্প-১৪ এর প্রাক্তন মাঝি ইয়াকুব এর পরিত্যক্ত ঘরের মেঝেতে লাশ পুঁতে রাখে। সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত সৈয়দ আমীনের স্ত্রী হাসান বশর লাশের পরনে থাকা কাপড়, বেল্ট ও মাথার চুল দেখে “তার স্বামীর লাশ বলে” শনাক্ত করে বলে ৮ এপিবিএন এর মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরান হোসেন জানান।

নিহতের স্ত্রী জানান ১৭ জানুয়ারী বিকেল ৪ টার দিকে একই ক্যাম্পের আরসার হেড জিম্মাদার আনোয়ার, সাহাব উদ্দিন, আনোয়ার ফারুক ও সাদেক সৈয়দ আমিনকে মুখ বেঁধে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়।

এই সংক্রান্তে টেকনাফ থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। আলোচ্য হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচনের ঘটনাটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার প্রথম বলে জানা গেছে।