এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে ডাক্তার সাবরিনা

ডেইলি বাংলাদেশ ◑

টেস্ট না করেই করোনাভাইরাস সংক্রমণের সনদপত্র দিয়ে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করা জেকেজি হেলথকেয়ারের কয়েকজন কর্মকর্তা কারাগারে থাকলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী।

জেকেজি হেলথ কী করে করোনার নমুনা সংগ্রহের অনুমতি পেল, পরীক্ষা ছাড়াই করোনার রিপোর্ট প্রদানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কেউ জড়িত রয়েছেন কিনা- এসব বিষয় খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

জানা গেছে, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রেজিস্ট্রার চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেও তিনি ছিলেন জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান। এই পরিচয়ে তিনি স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন এবং কথা বলতেন গণমাধ্যমের সঙ্গে।

এটি সরকারি চাকরি বিধিমালার সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন। তার আবেদনেই জেকেজি হেলথকেয়ার করোনার নমুনা সংগ্রহের বুথ স্থাপনের কাজ পায়।

তিনি নিজে জেকেজির কর্মীদের তিতুমীর কলেজে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। অথচ করোনা টেস্টের নামে দিনের পর দিন মানুষকে ঠকিয়ে আসছিল তারই প্রতিষ্ঠান।

প্রতারণার দায়ে স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন ৬ জন।

যদিও এখন জেকেজি’র দুর্নীতি ধরা পড়ার পরে ডা. সাবরিনা দাবি করেছেন, তিনি ১ মাস আগেই পদ ছেড়ে দিয়েছেন। আবার বলছেন যে তিনি কখনোই চেয়ারম্যান ছিলেন না, সবাই নাকি মুখে মুখে ডাকতো।

তবে অনলাইনে এই সেলিব্রিটির বহু ভিডিও ক্লিপিংস আছে যেখানে তিনি নিজেকে জেকেজির চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, জেকেজি হেলথকেয়ারের অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত অনেকটাই গুছিয়ে আনা হয়েছে। তাদের সন্দেহ, এর পেছনে জড়িত রয়েছেন প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও। ডা. সাবরিনার কর্মকাণ্ডও অনুসন্ধান করছে পুলিশ।

এ প্রসঙ্গে তেজগাঁও জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. হারুন অর রশিদ বলেন, তাদের সঙ্গে সমাজের অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সম্পর্ক থাকতে পারে। তাই আমরা তদন্ত করে দেখছি এর সঙ্গে অন্য দফতরের কোনো কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন কি না।

তিনি বলেন, এ ধরনের জালিয়াতির সঙ্গে যারাই জড়িত থাকবে প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। দ্রুতই জড়িতদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হবে।