এডহক কমিটিতে না রাখায় নাইক্ষ্যংছড়িতে মাদরাসায় তালা দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি •

মাদরাসার এডহক কমিটি থেকে বাদ পড়ায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি মহিউচ্ছুন্না দাখিল মাদরাসায় তালা ঝুলালেন সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার। এই নিয়ে থানায় একটি অভিযোগও করেছেন মাদারাসা সুপার মোঃ আব্দুল খালেক।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি চাকঢালা মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার। গত ১৪ এপ্রিল মাদরাসার ওই নিয়মিত কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে।

মাদরাসা শিক্ষ বোর্ড থেকে অনুমতি পেয়ে সম্প্রতি মাদরাসা সুপার পরবতর্ী এডহক কমিটিতে উপজেলা নিবার্হী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচিকে সভাপতি করে একটি কমিটির প্রস্তাবনা করেন। এদিকে এই খবর জানতে পেরে সাবেক এডহক কমিটির সভাপতি ও নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার গত ১১এপ্রিল উপজেলা সদরের মদিনাতুল উলুম আলিম মাদরাসার সুপারকে সঙ্গে নিয়ে চাকঢালা মহিউচ্ছুন্না দাখিল মাদরাসায় তালা ঝুলিয়ে দেন।

এই প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হলে মাদরাসা সুপার মো: আব্দুল খালেক জানান- বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের নিয়মানুযায়ী আমি একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি মাত্র। কিন্তু এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান আমাকে মারধর করে। এই ঘটনায় চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ও অপর মাদরাসা সুপার ছৈয়দ হোসাইনকে বিবাদী করে গত ১১এপ্রিল থানা ও মাদরাসা বোর্ডে একটি আবেদন করেছেন।

এদিকে মাদরাসায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার এই ঘটনায় এলাকার সুশীল সমাজের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও থানা অফিসার ইনচার্জের নির্দেশে মাদরাসার দরজা থেকে তালা খুলে নিয়েছেন চেয়ারম্যান নুরুল আবাছার।

এই প্রসঙ্গে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন- কোন ধরনের পরামর্শ ছাড়া আমাকে কমিটি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে মাদরাসা সুপার। আমি তালা ঝুলে দিয়েছিলাম ঠিকই, তবে ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশে পরে তালা খুলে নিয়েছি।