এবার খুরুশকুলে ভাইয়ের ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে দিদার

নিজস্ব প্রতিবেদক :

কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলে শ্রমিক থেকে কোটিপতি শাহীনের নানা ব্যবসায়ীক হাল ধরেছে তার ছোটভাই দিদার। খুরুশকুল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আলী-শাহীনের নেতৃত্বে ইয়াবার রমরমা বানিজ্য চলতো। দুইজনের বিরুদ্ধেই ইয়াবা সংক্রান্ত মামলা হওয়ায় তারা দু’জনেই এলাকা থেকে উধাও। বর্তমানে ওই ব্যবসার নেতৃত্বে দিয়ে যাচ্ছে শাহীনের আপন ছোটভাই দিদার। এই মরণ নেশা ইয়াবা ব্যবসার কারণে এলাকায় শিক্ষার্থীসহ উঠতি বয়সের যুবকেরা ধ্বংসের দিকে ঝুঁকিয়ে পড়েছে। দইজন এলাকা থেকে উধাও হলেও বেশি লাভের আসায় এই ব্যবসার হাল ধরে রেখেছে শাহীনের ছোটভাই দিদার এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।

আলী-শাহীন দুইজনের আওতায় পুরো খুরুশকুল এলাকায় একটি ইয়াবা সিন্ডিকেট রয়েছে। তার দুইজনেই দীর্ঘদিন ধরে এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছে। এমনকি এলাকা থেকে লাপাত্তা। তারা গা ঢাকা দিলেও শাহীনের সিন্ডিকেটের সদস্যদের অন্যতম শাহীনের আপন ছোটভাই দিদার এই ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনও এই মরণ নেশা ইয়াবায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে হার্ট লাইনে রয়েছে। এরপরে তারা কৌশলে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই মরণ নেশা ইয়াবার কারণে এলাকার যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আলী-শাহীনের নেতৃত্বে এলাকায় একটি ইয়াবা সিন্ডিকেট ছিল। এখন তাদের ইয়াবা ব্যবসা এই এলাকাজুড়ে নিয়ন্ত্রণ করছে দিদার। এভাবেই সাগর পথ পাড়ি দিয়ে ২০১৫ সাল থেকে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন খুরুশকুল পেচারঘোনা এলাকর মৃত হাজী মো. শফির ছেলে মোহাম্মদ আলী প্রকাশ ইয়াবা আলী, মেহেদী পাড়া এলাকার মৃত জহির আহমদের ছেলে মো. শাহীন। তাদের এই ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ করে আসছে শাহীনের ছোটভাই দিদার।

এসব ইয়াবা ব্যবসা করে তারা শ্রমিক থেকে বনে গেছেন কোটিপতি। গত ৩০ মার্চ ২০১৯ সালে আলী-শাহীনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ।

ওই মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৯ মার্চ ভোররাতে মাছ ধরার ফিশিংবোট যোগে চৌফলদন্ডী ব্রীজ এলাকা দিয়ে দুই লাখ ইয়াবা নিয়ে আসছে একটি চক্র। এমন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত স্থানে অভিযানে যায় পুলিশ। চৌফলদন্ডীর পাশে ফিশিংবোটটি আসার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাদের আটকের চেষ্টা চালায়। পরে তারা ট্রলার থেকে পানিজে ঝাপ দিয়ে অপর পাড় দিয়ে পালিয়ে যায়। তাদের আটক করতে সক্ষম না হলেও পুর্বে থেকে পাচারকারীদের জন্য অপেক্ষমান সিএনজি চালক মো. শাহজাহান (৩০) কে ধাওয়া করে খুরুশকুলের জালিয়ার চর থেকে আটক করে। পরে তার কাছ থেকে দুইশত পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, তখন আটক শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার শিকারোক্তি মোতাবেক খুরুশকুলের দক্ষিণ পেচারঘোনা এলাকর মৃত হাজী মো. শফির ছেলে মোহাম্মদ আলী প্রকাশ ইয়াবা আলী ও খুরুশকুলের মেহেদী পাড়ার এলাকার মৃত জহির আহমদের ছেলে মো. শাহীনের নাম উঠে আসে

এদিকে স্থানীয় একাধিক সুত্রে জানায়, মাছ উঠা-নামার শ্রমিক থেকে অল্প দিনেই মো. আলী ও মো. শাহীন ইয়াবায় জড়িয়ে বনে গেছেন কোটিপতি। তাদের এই ব্যবসা বর্তমানে নেতৃত্বে দিয়ে আসছে শাহীনের ছোটভাই দিদার। দিদার এসব ব্যবসা চালিয়ে গেলেও প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে তিনি। দিদার দফায় দফায় ইয়াবা এনে পাচার করেছে সারাদেশে। আলী- শাহীনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে ৮ মে থেকে এ পর্যন্ত থানায় মামলা হয়েছে ৯টি। উক্ত মামলায়স্পষ্ট উল্লেখ করা রয়েছে মো. আলী ও শাহিন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তারা দ্’ুজনেই এলাকা থেকে লাপাত্তা হওয়ায় এখন ব্যবসার হাল ধরেছে দিদার।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফদির উদ্দীন খন্দকার জানান, ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রশাসন সর্বদা শক্ত অবস্থানে রয়েছে। ইয়াবা ব্যবসায়ী যতো বড় প্রভাবশালী হউক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।