এসপি মাসুদকে আসামি করাতে আদালতে আবেদন

বিশেষ প্রতিবেদক ◑

সিনহা হত্যা মামলায় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করেছেন বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজারের জেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহর আদালতে তিনি এ আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে আদেশের জন্য অপেক্ষমান রেখেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. মোস্তফা।

বাদীর আবেদনে পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে ১০টি অভিযোগ আনা হয়েছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে জানান, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন মেজর সিনহা হত্যা মামলার তদন্তকাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করেই চলেছেন। তিনি সিনহা হত্যা মামলার আসামি বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকতকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছেন। আসামিদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। অর্থাৎ এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন তার দাপ্তরিক কার্যক্ষমতা আসামিদের পক্ষে কাজে লাগাচ্ছেন।

তিনি বলেন, এসব কারণে তাকে মেজর সিনহা হত্যা মামলার আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি ফৌজদারি আবেদন করেছি। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে শুনানি শেষে আদেশের অপেক্ষায় রেখেছেন।

দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন মামলার বাদী সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।

তিনি বলেন, আমার ভাইকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ভিকটিমের সিনহার বিরুদ্ধে অশ্রদ্ধা, অবমাননাকর ও মানহানিকর প্রতিক্রিয়া করে চলেছেন। আসামিদের মামলার দায় হতে অব্যাহতি প্রদানের জন্য কুপরামর্শ দিয়ে চলেছন।

শারমীন শাহরিয়া ফেরদৌস বলেন, এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন ঘটনার শুরু থেকেই আসামিদের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। উনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। মেজর সিনহার মানহানি করেছেন। ওই সময় তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন মেজর সিনহার গাড়িতে তিনি ইয়াবা ও মাদকদ্রব্য পেয়েছিলেন। একজন পুলিশ সুপার হিসেবে তিনি এটি বলতে পারেন না। তিনি তদন্তকাজে প্রতিনিয়ত বাধা সৃষ্টি করে চলেছেন।

তিনি আরো বলেন, আদালতের কাছে আমার প্রত্যাশা এসব অভিযোগে প্রেক্ষিতে এসপি মাসুদকে মামলায় আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার আদেশ দেবেন।