কক্সবাজারে ইয়াবাসহ কথিত সাংবাদিক আটক!

চকরিয়া প্রতিনিধি •

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মাদক কারবার, জায়গা দখলসহ নানা অপকর্মে জড়িত কথিত সাংবাদিক জসীম উদ্দিনকে (৩০) ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তার সহযোগি হোছন আলী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। ইয়াবাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় জসীমকে।

রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌণে বারোটার দিকে উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাম ছোবহান মিয়ার ঘোনাস্থ মাদক কারবারি হোছন আলীর বসতবাড়ির উঠানে এই অভিযান চালায় হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল।

গ্রেপ্তার জসীম উদ্দিন হারবাং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কোরবানিয়া ঘোনার রফিক উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় জসীম উদ্দিন এবং তার সহযোগী মৃত সোলতান হাকিমের ছেলে হোছন আলীকে আসামি করে চকরিয়া থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোর্শেদ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটি রুজু করা হয়েছে।

হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. মাহ্তাবুর রহমান জানান, বিজয় টিভির কথিত সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারসহ নানা অপকর্ম করে আসছিল জসীম উদ্দিন এবং হোছন আলী। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৫১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় জসীমকে। তবে এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় মাদকসহ বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামি হোছন আলী।

হারবাং ইউনিয়নের ভুক্তভোগী অসংখ্য ব্যক্তি দাবি করেছেন, সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মানুষের জায়গা দখল, ইয়াবাসহ রকমারী মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে বহু অপকর্ম করে আসছিল জসীম উদ্দিন। তার অত্যাচারে ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিরীহ মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়ে।

তারা আরো জানান, অতীতে হারবাং পুলিশ ফাঁড়িতে যারা দায়িত্ব পালন করে গেছেন, তাদের সহযোগিতা নিয়েই জসীম উদ্দিন নানা অপকর্ম করলেও পার পেয়ে যায়। বিশেষ করে সর্বশেষ দায়িত্ব পালনকারী ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম এবং একটি জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিকের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা পেয়ে বাংলা মদের ডেরা আজিজনগর থেকে মাদকের বিশাল চালান নিয়ে চকরিয়া, পেকুয়া, বাঁশখালী, কুতুবদিয়াসহ বিভিন্নস্থানে পাচারকাজে লিপ্ত ছিল সে। বিনিময়ে মাদক ব্যবসার টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করতো তারা।

চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার কথিত সাংবাদিক জসীম এবং তার সহযোগি হোছন আলীর (পলাতক) বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। ইয়াবাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার জসীমকে আদালতে উপস্থাপন করা হলে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত। পলাতক হোছন আলীকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।