কক্সবাজারে নিজের কিডনি দিয়ে ছেলেকে বাঁচালেন মা

নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া :

মো.সালাহ উদ্দিন। আনুমানিক বয়স ২৫ বছর।কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের নতুনঘোনা এলাকার নুরুল আলমের ছেলে। পরিবারের হাল ধরতে অল্প বয়সে পাড়ি দেয় বিদেশে । দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সৌদি আরব থেকে কয়েক মাস আগে দেশে ফিরেন তিনি। দেশে এসে বাবা-মায়ের পছন্দের পাত্রীকে বিয়ে করে ঘরে তুলেন।

বিয়ের এক মাসের মাথায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন সালাহ উদ্দিন। চিকিৎসকরা বলেছেন তার দুইটি কিডনি অচল হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে একাধিক মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। প্রবাস জীবনে জমানো সব অর্থ চিকিৎসায় ব্যয় করেছেন। সহায় সম্বল বিক্রি করে নিঃস্ব এখন সালাহ উদ্দিনের পরিবার।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন দুইটি কিডনি অচল হয়ে পড়ায় তাকে বাঁচানো সম্ভব নয়। তবে কেউ একটা কিডনি দিলে প্রতিস্থাপন করে তাকে বাঁচানো সম্ভব। সালাহ উদ্দিনের পরিবারে নেমে অন্ধকারের ছায়া।

কিডনি দান করে অসুস্থ এ র‍্যামিটেন্স যোদ্ধাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি কেউ। তবে বসে থাকেনি গর্বধারিনী মা। ছেলেকে বাঁচাতে ঠিকই তিনি ছুটে গেলেন হাসপাতালে। নিজের একটি কিডনি দান করে ছেলেকে বাঁচার স্বপ্ন দেখালেন মমতাময়ী মা মর্তুজা বেগম।

এ যেন ছেলের প্রতি মায়ের অকৃত্রিম ভালবাসা। ছেলেকে বাঁচিয়ে তুলতে মায়ের দুইটি কিডনি থেকে একটি কিডনি ছেলেকে প্রদান করেছে।

(২৮ জুলাই) বুধবার দুপুর ২টার সময় ঢাকা কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে তার অস্ত্রোপাচার সম্পন্ন হয়েছে। ডা.শোয়াইব নোমানী অস্ত্রোপাচার করে সফলতার সাথে কিডনি প্রতিস্থাপন করে।