কক্সবাজারে ফার্মেসীগুলোতে ঔষুধের একেক দাম: হয়রানির শিকার ক্রেতারা

সাইফুল ইসলাম,কক্সবাজার জার্নাল

কক্সবাজারের ফার্মেসীগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন ঔষুধের অতিরিক্ত মূল্য নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফলে হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা। শহরের বিভিন্ন এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে যানা যায়, শহরসহ উপজেলার প্রায়ই প্রতিটি এলাকায় আছে ঔষধের দোকান। মানুষের মাঝ থেকে কৌশলে অতিরিক্ত মূল্য নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও পাশ^বর্তী একেক ফার্মেসীতে একেক ধরনের দামও নিচ্ছেন ফার্মেসীর ম্যানেজাররা। এতে বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগী ক্রেতারা। একদিকে ইচ্ছামতো দাম নিচ্ছে অন্যদিকে মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দাম নেওয়া হচ্ছে।

বিশেষ করে সদর হাসপাতাল রোডের ফার্মেসীতে এসব করা হচ্ছে বলে জানান সচেতন মহল। কিছুদিন আগে সী-সাইড হসপিটালের সামনে মের্সাস প্রেসক্রিপশন ফার্মেসীতে জসিম উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি ৭ হাজার টাকার ঔষুধ ক্রয় করেছেন। ওই ঔষুধ পাশ^বর্তী এক ফার্মেসীতে বিক্রি করছেন ৪ হাজার টাকা। প্রায় ৩ হাজার টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন ওই প্রেসক্রিপশন ফার্মেসীর ফার্মেসীর ম্যানেজার। এভাবেই প্রতিটি ফার্মেসীতে এক ঔষুধ একেক ধরণের দাম নেয়ার অভিযোগ ভুক্তভোগীর।

ঔষুধ ক্রেতা জামাল, আব্দুল সালাম, বোরহানসহ অনেকেই বলেন, ডাক্তারের লিখে দেয়া প্রেসকিপসন নিয়ে ফার্মেসীতে গেলে বেশি দামে কিনতে হয় ঔষধ। এছাড়াও পাশ^বর্তী কয়েকটি ফার্মেসীতে দেখা যায় একেক ফার্মেসীতে একেক ধরনের দাম নিচ্ছে ঔষুধের। ঔষধের পাতায় মূল্য লেখা না থাকার কারণে ফার্মেসীর মালিকগণ যার যার ইচ্ছে মত দাম নিচ্ছে। বাধ্য হয়েই দোকানীরা যে দাম বলে সে দাম দিয়ে ক্রয় করতে হয় রোগীর ঔষধ। হয়রানি থেকে বাঁচতে প্রতি ঔষধের পাতায় মূল্য লেখা থাকে এবিষয়ে দ্রুত সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

শিক্ষক জহিরুল ইসলাম বলেন, এক ঔষধ একেক ফার্মেসীতে একেক দাম। আবার অধিকাংশ মানুষের প্রয়োজনীয় ঔষধ গেস্ট্রিকের এগুলি এখন সব কোম্পানির ওষুধের দাম বাড়তি। কারন হিসাবে জানতে চাইলে ফার্মেসীর মালিক বলেন সরকারের ভ্যাটের কারনে কোম্পানি দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন গ্রামের তুলনায় শহরে খুচরা ঔষধ নিতে গেলে গ্রামের চাইতে পার টেবলেটের উপর ১/৩ টাকা বেশি দাম দিয়ে ক্রয় করতে হয়। ঔষুধের পাতায় মূল্য না থাকা এভাবে দাম বেশি নিতে পারছে।

মূল্য বেশি নেওয়ার বিষয়ে ফার্মেসীর মালিক জসিম উদ্দীন বলেন, এটা তাদের মনে এক ধরনের সন্দেহ। এখন একটি বাজারে কম করে হলেও ১০/১৫ টি ফার্মেসী আছে। প্রতিযোগীতার ব্যবসায় কে কত ক্রেতাকে কমদাম নিয়ে ক্রেতা ধরে রাখতে পারে এটাই আমাদের চিন্তা। দাম বেশি নেওয়ার প্রশ্নই আসেনা। এগুলো মনের একটা অযাথা সন্দেহ।