কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়েই ইয়াবা ব্যবসায় জড়াল যুবক

ডেস্ক রিপোর্ট – ২০ দিন আগে কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়েছিলেন শহিদুল ইসলাম (৩২) নামের এক যুবক। সেখানে গিয়ে উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাবুল নামের এক ইয়াবা ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁর পরিচয়। বাবুলের কাছ থেকে নিজের জন্য ইয়াবাও কেনেন শহিদুল।

একপর্যায়ে তিনি নিজেই ইয়াবা ব্যবসার দিকে ঝুঁকে পড়েন। আড়াই হাজার ইয়াবার একটি চালান নিয়ে আকাশপথে ঢাকায় আসেন শহিদুল।

বৃহস্পতিবার সকালে ইয়াবার চালানসহ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের সামনে থেকে তাঁকে আটক করে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ (এপিবিএন)।

বিমানবন্দর এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশনস অ্যান্ড মিডিয়া) আলমগীর হোসেন বলেন, আজ সকাল নয়টার দিকে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের বহিরাঙ্গনে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার সময় আটক করা হয় শহিদুলকে। তাঁর বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হবে।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, আটকের পর বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্তিকর ও সন্দেহজনক তথ্য দিচ্ছিলেন শহিদুল। পরে তাঁকে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের হেফাজতে নিয়ে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে শহিদুল ইয়াবা থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে তল্লাশি করে ২ হাজার ৪১৫টি ইয়াবা পাওয়া যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শহিদুল জানান যে তিনি কক্সবাজারে ২০ দিন ছিলেন। সেখানে তিনি প্রতিদিন বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাবুল নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে নিজের জন্য ইয়াবা কিনতেন।

পরে তাঁর মাথায় ইয়াবা ব্যবসার কথা চাপে। বাবুলের কাছ থেকে বাকিতে ইয়াবা এনে বিক্রি করে টাকা পরিশোধের কথা ছিল বলে তিনি জানান।

শহিদুল ইসলামের বাড়ি বরগুনা জেলার আমতলী থানার রূপখালী গ্রামে।