কক্সবাজারে শত শত বিদেশি মদের বোতল ঝুলিয়ে রাখা কটেজ

কালেরকন্ঠ ◑ শত শত দেশি-বিদেশি মদের বোতল ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে একটি কটেজে। পর্যটকদের সহজে আকৃষ্ট করার জন্যই এমন ব্যবস্থা। তবে মদের লাইসেন্সও নেই। তারপরেও একদম ওপেন সিক্রেট কটেজটিতে মদের বোতল ঝুলানো রাখা হয়েছে। আবার কটেজটিও নির্মাণ করা হয়েছে সরকারি খাস জমিতে। কক্সবাজার শহর থেকে দক্ষিণে রামু উপজেলার পোঁচারদ্বীপ এলাকার সাগর পাড়ে নামবিহীন এ কটেজটি।

কটেজ মালিক শামিমুল হক শ্যাম। তিনি এখন পুলিশের হাতে আটক রয়েছেন। কটেজ মালিকের বয়স মাত্র ১৮ থেকে ১৯ বছর। অভিযোগ উঠেছে, চরম ডানপিটে ইংরেজি জানা এই কিশোর কোনো বিদেশিনিকে পেলেই পিছু লেগে যায়। বিভিন্ন প্রলোভনে বিদেশি পর্যটককে ভাগিয়ে নিয়ে যায় তার কটেজে। এমন অভিযোগ লোকমুখে অহরহ। প্রভাবশালী আলোচিত সমালোচিত এই কটেজ মালিক শামিমুল হক শ্যাম প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম বিক্রি করেই ফ্রি স্টাইলে চলছেন।
সোমবার রাতে বিদেশি তরুণী ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় পুলিশের জালে আটক হওয়ার পর খোঁজ-খবর নিতে গিয়ে এই উদ্ভট কটেজের সন্ধান মিলেছে। যার চার পাশে শত শত নামীদামী ব্রান্ডের মদের বোতলের পসরা সাজিয়ে রেখেছে। এমন কাণ্ড দুই দিন আগেও জানতো না পুলিশ প্রশাসন। কক্সবাজারের রামু থানাধীন পেঁচারদ্বীপ এলাকায় সাগরকূলে প্যারাবনের ধারে গড়ে উঠেছে এই কটেজ।

এখনো কিছুই জানে না সংশ্লিষ্ট প্রশাসন! এখানে গড়ে উঠেছে মদের বোতল ঝুলানো কটেজসহ আরো ৪টি কটেজ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আলোচিত সমালোচিত মারমেইড ক্যাফে ইক্যু কটেজের মালিক আনিসুল হক সোহাগের ছোট ভাই শামিমুল হক শ্যাম মদের বোতল ঝুলানো এই বেনামী কটেজটির মালিক। পাশের আরো চারটি মুন নেস্ট নামীয় কটেজের মালিক শামিমুল হক শ্যামের বড় ভাই শাহীনের মালিকানাধীন।

এই কটেজগুলোতে রোমিওদের আনাগোনা লেগে থাকে সারা বছর। ভাড়ার নামে গলা কাটা বাণিজ্য হলেও কপোত কাপোতিদের রোমান্স আড্ডা ও রাত কাটানোর মেলবন্ধন থেমে নেই। মদ আর নারী এই কটেজগুলোতে ওপেন সিক্রেট। এই উদ্ভট কটেজ মালিক কোনোদিনও তোয়াক্কা করেনি প্রশাসনের নজরে আসবে কিনা। তার এমন আচরণ ও ব্যবসার ধরণ দেখে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে এলাকাবাসী সচেতন মহলের কাছে।