কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন কার্যক্রম স্থগিত

এম.এ আজিজ রাসেল :


প্রকৃত ক্লাবের নাম বাদ, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশে অনিয়মসহ নানা অভিযোগের কারণে ১৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচনের তফসিল আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি, সোমবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) অনলাইনে শুনানি শেষে এই আদেশ প্রদান করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার।

অনলাইন শুনানিতে যুক্ত ছিলেন কক্সবাজার ল চেম্বারের সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ আখতার উদ্দিন হেলালী, আইনজীবী খালেদ আনোয়ার ও আইনজীবী শহিদুল ইসলামসহ চেম্বারের অন্যান্য আইনজীবীগণ।

এডভোকেট মোহাম্মদ আখতার উদ্দিন হেলালী জানান, ‘জেলা ক্রীড়া সংস্থা নির্বাচনে ভোটার তালিকার বিরুদ্ধে আপিল করেন বাঁশকাটা খেলোয়াড় সমিতি এবং ন্যাশনাল কক্স ক্রীড়া সংস্থা। দায়েরি আপিল মামলাদ্বয় অনলাইন শুনানি হয়। আপিলের যৌক্তিকতা বিবেচনায় নির্বাচনী তফসিল আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি, সোমবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেন বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও বিভাগীয় কমিশনার।’

নির্বাচনের ভুল তফসিল, খসড়া ভেটার তালিকা প্রকাশ না করা, আপত্তি ও শুনানির তারিখ না রাখাসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিভাগীয় কমিশনারের নিকট অভিযোগ করেন ন্যাশনাল কক্স ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি করিম ও বাঁশকাটা খেলোয়াড় সমিতির সহসভাপতি আমির হোসাইন।

তাছাড়া সরবরাহকৃত ভোটার তালিকায় অনেক ক্লাব ও প্রতিনিধির নাম নাই বলে অভিযোগ করেন তারা। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে পৃথক ৩ টি মামলার প্রক্রিয়াধীন বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।

মামলার পর পরই প্রকৃত ক্রীড়াবিদ অনেকে মূখ খুলেছেন তারা সাংবাদিকদের অভিযোগ করছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার বর্তমান কমিটি একনায়কতন্ত্র, সাধারণ সভা না করে তফসিল ঘোষণা, আয় ব্যয়ের হিসাব না করা, একেক জনের নামে ১০/১২ টা করে ক্লাবসহ বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।

বাফুফের টানা তিনবার নির্বাচিত সদস্য ও কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সিনিয়র সহসভাপতি বিজন বড়ুয়া জানান, ‘জেলা ক্রীড়া সংস্থায় এখন ক্রীড়া উন্নয়নের কিছুই নেই, হয়ে গেছে একনায়কতন্ত্রের প্রতিষ্ঠান। আমার নামে দুটি ক্লাব আছে তার প্রতিনিধি ও ভোটার কে তিঁনিই জানেন না। তাকে এ ব্যাপারে কোন চিঠি ইস্যু করেননি। হঠাৎ তফসিলের পর আমার নামের তালিকায় স্ত্রীর নাম দেখে হতাশ হয়েছি।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ভোটার তালিকার সমাধান, সাধারণ সভা ও কোষাধ্যক্ষের আয়-ব্যয় রিপোর্ট অনুমোদন না করে কিভাবে তফসিল ঘোষণা করছে এটা তো কোন গঠনতন্ত্রে নেই।’

নির্বাচন কমিশনার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, ‘দুটি ক্লাবের মামলার অভিযোগের ভিত্তিতে শুনানী করা হয়। এতে ৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। ওইদিন উভয়পক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ স্ব শরীরে শুনানীতে অংশগ্রহণ করার জন্য দিন ধার্য্য করা হয়।’