কক্সবাজার থেকে নিয়মিত বিমানে ইয়াবা আনতেন শাহরিয়ার

ডেস্ক রিপোর্ট – সড়ক পথের পাশাপাশি নৌ ও রেল পথে ইয়াবা আনার খবর অহরহ মেলে। তবে আকাশ পথে কড়াকড়ির কারণে ইয়াবার চালান আনার খবর কমই জানা যায়।

বিমানের যাত্রী বেশে কক্সবাজার থেকে নিয়মিত ইয়াবার চালান আনা এমন একটি চক্রকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটক করেছে র‌্যাব।

বিমানবন্দরের সামনে থেকে শাহরিয়ার পারভেজসহ আটক চারজনই মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছে র‌্যাব। এ সময় শাহরিয়ারের কোমরের বেল্ট থেকে ২০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। আটক অন্যরা হলেন- জাহাঙ্গীর, নেপাল পাল ও হাবিব। র‌্যাবের দাবি তারা প্রত্যেকে মাদক ব্যবসায়ী।

র‌্যাব-১ এর উপ-অধিনায়ক (কোম্পানি কমান্ডার, সিপিসি-২) মেজর মোহাম্মদ রাকিবুজ্জামান জানান, কক্সবাজার থেকে নিয়মিত বিমানের যাত্রীবেশে ইয়াবা নিয়ে আসতো শাহরিয়ার পারভেজ। আটকের দিন বৃহস্পতিবারও তিনি একটি ইয়াবার চালান নিয়ে আসেন। পরে বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে ইয়াবার চালানটি অন্য তিনজনের কাছে সরবরাহের সময় চারজনকেই হাতেনাতে আটক করা হয়।

শাহারিয়ার জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে রেডিশন ব্লু হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) বলে দাবি কররেও যাচাই করে তার ওই পরিচয়ের সত্যতা মেলেনি।

জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াবা ব্যবসায়ী শাহরিযার জানান, অসংখ্যবার তিনি ইয়াবার বড় বড় চালান ঢাকায় এনেছেন। নিজের শরীরের মধ্যে লুকিয়ে বিমানযাত্রী বেশে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় এসব ইয়াবা নিয়ে আসতেন। এমনকি ইয়াবার চালান আনার জন্য একদিনেই একাধিকবার কক্সবাজার-ঢাকা যাতায়াত করেছেন শাহারিয়ার। একেক চালানে ন্যূনতম ২০-২৫ হাজার পিছ ইয়াবা আনতেন বলেও র‌্যাবকে তথ্য দিয়েছেন শাহরিয়ার।

র‌্যাব-১ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ রাকিবুজ্জামান জানান, ঢাকায় শাহরিয়ারের নিজস্ব বাড়ি আছে। কক্সবাজার থেকে আনা ইয়াবা বিমানবন্দর এলাকা থেকেই অন্য মাদক ব্যবসায়ীদের সরবরাহ করতেন তিনি। কখনো কখনো কোনো হোটেলে উঠে সেগুলোর সরবরাহ করতেন।

তিনি বলেন, আটক আসামি জাহাঙ্গীর শাহারিয়ারের কাছ থেকে সব সময় ইয়াবা সংগ্রহ করতেন। জাহাঙ্গীর এসব ইয়াবা সংগ্রহ করে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে তা সরবরাহ করতেন। আটক হাবিব জাহাঙ্গীরের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন।

অপর আসামি নেপাল পাল তাঁতী বাজারের একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। তিনি স্বর্ণ ব্যবসার আড়ালে ইয়াবা ব্যবসাও করে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে নেপাল পালও শাহারিয়ারের কাছ থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করতে বিমানবন্দরে এসেছিলেন।

তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মাদক আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র‌্যাব-১ এর এ কর্মকর্তা।