করোনা আতঙ্ক দূরে ঠেলে কক্সবাজার সৈকতে লাখো পর্যটক

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন •

কেউ এসেছেন সপরিবারে, কেউবা বন্ধুদের সঙ্গে। কখনো দল বেঁধে সাগরে গোসল করে, কখনোবা সৈকতের বালিয়াড়িতে হইহুল্লোড় করে সময় কাটাচ্ছেন পর্যটকেরা।

করোনা আতঙ্ক দূরে ঠেলে দিনভর আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে থাকছেন সবাই।

বড় দিনের ছুটির দিন থেকে লাখো পর্যটকের ঢল নেমেছে বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকত ও পর্যটন নগরী কক্সবাজারে।
অবশ্য করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিতে এবার পর্যটকের উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল মালিকেরা। তবে শেষ পর্যন্ত আতঙ্ক ছাপিয়ে সৈকতে ঢল নেমেছে পর্যটকদের।

গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তিন দিনে কক্সবাজার সৈকত ভ্রমণে এসেছেন অন্তত আড়াই লাখ পর্যটক। আড়াই লাখ পর্যটকের আগমনকে ঘিরে কক্সবাজারে এই কয়েক দিনে প্রায় ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে।

শনিবার সকালে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, হাজার হাজার পর্যটক সাগরে গোসল করছেন। কেউ স্পিডবোটে চড়ে গভীর সমুদ্রে গিয়ে ঘুরে আসছেন, কেউ আবার সৈকতে বানাচ্ছেন বালুর ভাস্কর্য। দল বেঁধে ফুটবল নিয়ে মেতেছেন কিশোর-তরুণেরা।

বিকেলে সৈকতের কলাতলী থেকে শৈবাল পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতে ভিড় জমান লাখো পর্যটক।

সিলেট থেকে আসা পর্যটক ঝলক চৌধুরী বলেন,বিশাল সমুদ্রের জলরাশি সব যন্ত্রণা মুছে দিলেও করোনা কালে মনের আতঙ্ক কাটছে না।

কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, কক্সবাজারের পর্যটনকে ঘিরে সৈকত ও শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৪৫০টি হোটেল, মোটেল ও গেস্টহাউসে যত কক্ষ রয়েছে, তাতে দিনে ৭৮ হাজার পর্যটকের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। পর্যটকের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ায় অনেক হোটেলে গাদাগাদি করে থাকছেন পর্যটকেরা।