করোনা ভাইরাসের নামই শোনেনি আরাকানের লাখো মানুষ!

অনলাইন ডেস্ক ◑  সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান সশস্ত্র সংঘাতে উসকানি বন্ধের কথা বলে মিয়ানমার সরকার দেশটির নয়টি মফস্বল শহরে প্রায় এক বছর ধরে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রেখেছে। ফলে উত্তর আরাকানের আট লাখেরও বেশি মানুষ কভিড-১৯ মহামারীর ব্যাপারে কোনো তথ্যই পাচ্ছে না।

মানবাধিকার গ্রুপের অভিযোগ, এমনকি তাদের অধিকাংশই এখনো কভিড-১৯-এর ব্যাপারে কিছুই জানে না!

গত বছরের জুন মাসে নয়টি শহরে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয় স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন সরকার। গত মাসে একটি শহরে ইন্টারনেট লাইন পুনরায় চালু করা হলেও বাকি আটটিতে এখনো ব্ল্যাকআউট। ফলে ওই শহরগুলোর আট লাখেরও বেশি মানুষ এখনো কভিড-১৯ নিয়ে অন্ধকারে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অভিযোগ, এতটা দীর্ঘ সময় ধরে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখায় এখানকার মানুষের জীবন চরম ঝুঁকিতে। কারণ তারা করোনাভাইরাস সম্পর্কে কোনো ধরনের প্রচার-প্রচারণা থেকে দূরে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার লিন্ডা লাখদির বলেন, ‘মহামারীর মধ্যে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সশস্ত্র সংঘাতের কারণে, এখানকার মানুষের জন্য তথ্য পাওয়া ও সুরক্ষিত থাকা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।’

উত্তর রাখাইন রাজ্যে একটি জনাকীর্ণ ক্যাম্পেই প্রায় ১ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানকে রাখা হয়েছে।

মিয়ানমারের সংসদ সদস্য হিতুত মে জানান, ইন্টারনেট না থাকার কারণে ফেসবুক, মেসেঞ্জার অ্যাপ ও সরকারি ওয়েবসাইটের কোনো তথ্যই পাচ্ছে না উত্তর রাখাইন ও তার পার্শ্ববর্তী চিন রাজ্যের অধিবাসীরা। তার কথায়, ‘আমার সংসদীয় আসনের মানুষদের যখন কভিড-১৯ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি তখন আমাকেই উত্তরটা দিতে হয়। আমাকে বলতে হয়, সামাজিক দূরত্ব কী ও কীভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হয়।’