করোনা সংকটে টেকনাফ বন্দরে এক মাসে সরকারী রাজস্বের ঘাটতি ১০ কোটি টাকা!

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল ◑

করোনাভাইরাসের কারনে টেকনাফ স্থলবন্দরে সীমান্ত বাণিজ্যে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
সারাদেশে চলছে লকডাউন গাড়ী চলাচল বন্ধ,বন্দরে শ্রমিক সংকট,সব মিলিয়ে আগের তুলনায় আমদানি-রপ্তানি অনেকটা কমে গেছে।

তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত এপ্রিল মাসে মাত্র ২ কোটি ৬৯ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। যা মাসিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ কোটি ৮৬ লাখ টাকার কম।

৮ মে (শুক্রবার) এপ্রিল মাসের রাজস্ব আদায়ের এ তথ্যটি নিশ্চিত করে টেকনাফ স্থল বন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা আবছার উদ্দীন জানান, ২০১৯-২০ অর্থ বছরের এপ্রিল মাসে ১৪২টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ২ কোটি ৬৯ লাখ ৭ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। এপ্রিলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক মাসিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ১৩ কোটি ৫৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ কোটি ৮৬ লাখ ১৮ হাজার টাকার রাজস্ব কম আদায় হয়েছে। এই মাসে মিয়ানমারের থেকে পণ্য আমদানি হয় ৩৪ কোটি ২৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার। এই মাসে নিত্যপণ্য পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ৪ হাজার ৭০৫ মেট্রিক টন। আমদানি পেয়াঁজ থেকে কোনো ধরনের রাজস্ব আদায় হয় না। তাছাড়া করোনার কারণে পশু আমদানি বন্ধ রয়েছে। যার ফলে সেই খাত থেকেও কোনো ধরনের রাজস্ব আদায় হয়নি। এমনকি শুল্ক আদায় যোগ্য পণ্য কম আমদানির ফলে রাজস্বও কম আদায় হয়েছে।

অপরদিকে মিয়ানমারে ৭টি বিল অব এক্সপোর্টের মাধ্যমে ১৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার দেশিয় পণ্য রফতানি হয়েছে।

শুল্ক কর্মকর্তা আরও বলেন, করোনার প্রভাবেএই সীমান্ত বাণিজ্যে লেগেছে। ভাইরাসের কারণে সারাদেশে চলছে সাধারণ ছুটি, এর মধ্যেও শুধুমাত্র নিত্যপণ্য আমদানির লক্ষ্যে সরকার সীমিত বন্দর চালু রাখে। এতে অল্প সংখ্যক পেঁয়াজ ও আদা আমদানি হয়েছে। তবে আগের কিছু পণ্যের ট্যাক্স প্রদান করায় এ সব রাজস্ব আদায় হয়েছে। যেখানে বন্দরে অন্যান্য পণ্য আমদানি বন্ধ, সেখানে মাসিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব নয়।

তবে করোনাভাইরাসের প্রভাব কেটে গেলে পণ্য আমদানি ও রফতানি স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছেন তিনি।