কুবিতে কর্মচারীদের জন্য উন্নতমানের পরিচয়পত্র, শিক্ষার্থীদের জন্য নিম্নমানের

মোঃ জয়নাল আবেদিন, কুবি প্রতিনিধি ◑

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৩ বছর পার করলেও আজও শিক্ষার্থীরা স্মার্ট স্টুডেন্ট আইডি কার্ড অথবা উন্নতমানের পরিচয়পত্র পায়নি। হাত লিখিত বা এনালগ আইডি কার্ড দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় ব্যবহার করছে শিক্ষার্থীরা। অথচ কর্মচারী থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের জন্য উন্নতমানের পরিচয়পত্র ব্যবহারের সুযােগ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীরা স্মার্ট কার্ড অথবা উন্নতমানের কার্ড না পেয়ে সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন সময়ে হতাশা ব্যক্ত করেন।

ভর্তির পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হাতে লিখিত বা এনালগ আইডি কার্ড দেয় শিক্ষার্থীদের। পরিচয়পত্রের জন্য ১০০ টাকাও প্রদান করত হয় শিক্ষার্থীদের। এর আগেও অতিদ্রুত সময়ে উন্নতমানের পরিচয়পত্র দেওয়া হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়। সময় গড়িয়ে গেলেও এখনও শিক্ষার্থীদের এনালগ আইডি কার্ড প্রদান করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা হতাশা প্রকাশ করেন। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি ক্ষােভ প্রকাশ করে বলেন,‘কর্মচারীদের জন্য ডিজিটাল পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা
করলেও শিক্ষার্থীদের সেই নিম্মামানের কাগজে লেখা পরিচয়পত্রই সরবরাহ করা হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী শওকত হােসাইন বলেন,‘এনালগ বা হাতে লেখা আইডি কার্ড মাস বা বছর শেষ না হতেই নষ্ট হয়ে যায়। কর্মচারীরা উন্নতমানের পরিচয়পত্র ব্যবহার করতে পারলে আমরা কেন পারবাে না? তথ্য প্রযুক্তির যুগে হাতে লেখা আইডি কার্ড ব্যবহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে বেমানান।’

গণযােগাযােগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১০ ব্যাচের শিক্ষার্থী এমডি কুতুব উদ্দিন বলেন,‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড একজন শিক্ষার্থীর প্রথম পরিচয় বহন করে। এনালগ বা হাতের লেখা আইডি কার্ড নকল করার আশংকা থাকে । তাই নকল, জালিয়াতি এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড এনালগ বা হাতের লেখা বাদ দিয়ে স্মার্ট কার্ড করা বাঞ্ছনীয়। তাহলে নকল করা যাবে না এবং মানসম্মত হবে।’

বিশ্বিবদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে। তবে এক দেড় বছরের মধ্যে উন্নতমানের পরিচয়পত্র দিতে চেষ্টা করবে বলে জানান তিনি।