গত চারশো বছরে রোহিঙ্গাদের মানুষ করা যায়নি: আসিফ

বাংলাদেশে প্রবেশের দুই বছর পূর্তিতে গত ২৫ আগস্ট কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে বিশাল এক সমাবেশ করেছে রোহিঙ্গারা। সেই থেকে এই সমাবেশ নিয়ে নানা চলছে আলোচনা-সমালোচনা। সম্প্রতি এই আলোচনায় যোগ দিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর।

৩১ আগস্ট দুপুরে এই কণ্ঠশিল্পী নিজের ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজে এক দীর্ঘ মন্তব্য জানিয়েছেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে।

ফেসবুকে আসিফ লিখেছেন, রোহিঙ্গারা জাতিগত ভাবে মুসলিম হলেও এদের অতীত ইতিহাস ভয়ঙ্কর। গত চারশো বছরে তাদের মানুষ করা যায়নি। এই রোহিঙ্গারা যখন দলে দলে ঢুকে,তখন আমাদের আবেগ এতোই উথলে উঠেছিলো, প্রয়োজনে মায়ানমারের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করলেও আপত্তি ছিলোনা। এরা ঢুকেই খুনোখুনি রাহাজানিতে মত্ত হয়ে নিজেদের আসল চরিত্র মেলে ধরেছে। এরমধ্যে বিশাল সমাবেশ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য একটা স্থায়ী হুমকি দিয়ে রাখলো।

আসিফ আরও লিখেছেন, নিকট অতীতে দেশে এতো বিশাল সমাবেশ দেখিনি। স্ট্যামফোর্ড ভার্সিটিতে একটা অনুষ্ঠানে বক্তব্যে বলেছিলাম- রোহিঙ্গারা কি জিনিষ এটা টের পেতে সময় লাগবেনা। সেই সময় চলে এসেছে, চীন জাপান ভারত রাশিয়া বাংলাদেশের পক্ষে কোন ভূমিকা রাখছে না। এনজিও গুলোর ব্যবসা চলছে রমরমা, এই ফাঁকে রোহিঙ্গা শিবিরে মাদক আর অস্ত্রের জমজমাট খেলা এখন ওপেন সিক্রেট। এদের সন্ত্রাসী অপ তৎপরতার খবর মিডিয়ায় আশা শুরু হয়েছে। এই সংবাদ দেশের নিরাপত্তার জন্য অশনি সংকেত, আমাদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। আমরা ব্যস্ত সাময়িক নানা ইস্যু আর কিছু হুজুরদের বক্তব্য ব্যঙ্গ করা নিয়ে, আফসোস।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/31/1567249803492.jpg

রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও সেই স্ট্যাটাসে আসিফ আরও লিখেছেন, দেশে কোটি কোটি যুবক বেকার, অবৈধ পথে বিদেশ যাওয়ার পথে বেঘোরে প্রাণ দিচ্ছে। অথচ পাঁচ লাখ ভারতীয় এদেশে বৈধ অবৈধ ভাবে কাজ করে তাদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখছে। তাদের কাজ তারা করছে, এমন নির্লিপ্ত জাতি পেলে সুবিধা নেবে যে কেউ। আমরা ব্যস্ত আমাদের নিয়ে, সাবেক আধমরা জাতি এখন ফুল মরা জাতি হওয়ার পথে ধাবিত হচ্ছে। একটু আক্ষেপ থেকে লিখলাম, কারো বিরুদ্ধে লিখি নি, এই লেখা বাংলাদেশের পক্ষে। কিছু জিনিষ মনে রাখতে হবে আজাব গজব বিপদ বানের পানিসহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় দল মত ধর্ম বর্ণ বিচার করে আসেনা। দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জাতি যতদিন বহুধা বিভক্ত থাকবে, ততদিন পূর্ণাঙ্গ ভাবে স্বাধীনতা ভোগ করা কোনভাবেই সম্ভব হবেনা। জাতির বিভক্তির নেপথ্যের কুশীলবদের নজরবন্দী করার সময় এসেছে।