উখিয়ায় ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন গরীবের বন্ধু জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

কক্সবাজার জার্নাল রিপোর্ট

করোনা ভাইরাসে আর্থিক সংকটে বিপর্যস্ত অসহায়, হতদরিদ্র মানুষের দ্বারে দ্বারে ত্রাণ নিয়ে ছুটছেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

করোনা সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে উখিয়ায় তিনিই একমাত্র জনপ্রতিনিধি, যিনি নিজের ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে ঘরবন্দি মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ধারাবাহিকভাবে তিনি এখনও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। দিনের অধিকাংশ সময় ত্রাণ বিতরণে ব্যস্ত থাকেন বিপদের বন্ধু হিসেবে খ্যাতি পাওয়া এ নেতা। শুধু করোনা সংকট নয়, যখনই কোন দুর্যোগ হয়, তখনই তিনি দুর্গত মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান।।

মিয়ানমার থেকে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা যখন দলে দলে বাংলাদেশে পাড়ি জমান, তখনও তিনি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিতে দিনরাত পরিশ্রম করেন। ক্ষুধায় কাতর রোহিঙ্গাদের হাতে দিনের পর দিন চাল ডাল তুলে দিয়েছেন। তাদের খিচুড়ি রান্না করে খাইয়েছেন। এমনকি তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ও নিজের বিশ্রামের জন্য তৈরী করা কুতুপালং এর পেট্রোল পাম্পটি প্রশাসনের জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন। নিয়মিত তাদের খাবারদাবারের ব্যবস্থাও করতেন এ নেতা।

এ জন্য দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনাও আওয়ামীলীগ বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। এমনকি হাজার হাজার প্রতিনিধির উপস্থিতি বড় পরিসরের বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে বক্তব্য দিতে একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে তাকে সিলেক্ট করেন এবং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর নাম ঘোষণা করেন।

বর্তমান করোনা দুর্যোগেও উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি থেকে শুরু করে, এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও অন্যান্যরা যখন নিরাপদ দুরত্বে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন, তখন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী নিজের, পরিবার ও সন্তানদের ঝুঁকির কথা না ভেবে মানবসেবায় নেমে পড়েন।

এখানেই অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের সাথে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর তফাৎ। তার নেতৃত্বের গুনাবলি, মানবতাবোধ, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ইস্পাত কঠিন মনোবল, কাজের দক্ষতা অন্যদের থেকে তাকে আলাদা করে রেখেছে। নিজ গুণে স্বমহিমায় উজ্জল এই নেতা দুর্যোগ মোকাবেলায় সাধ্যের সবটুকু দিয়ে দরিদ্র মানুষের জন্য প্রাণপণ লড়ে যাচ্ছেন।

পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন। তাদের সাথে সমন্বয় করে ত্রাণ কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছেন। করোনার মতো ছোঁয়াচে রোগের ভয়কে জয় করে প্রকৃত একজন জনদরদী জননেতার পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। করোনা দুর্যোগ শুরু হওয়ার পর থেকে রাতদিন চষে বেড়াচ্ছেন রাজাপালংয়ের প্রতিটি অসহায় মানুষের দরজায়। সাধারণ মানুষকে দিচ্ছেন সাহস, ধৈর্য নিয়ে শুনছেন তাদের আকুতি।

অনাহারির মুখে খাবার দিতে যাচ্ছেন একঘর থেকে অন্য ঘরে। তিনি শুধু দিনে নয়, রাতের বেলায়ও আরামের ঘুম হারাম করে ছুটে চলছেন এলাকা থেকে এলাকায়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মানবসেবা তার রক্তে প্রবাহমান। তার মরহুম পিতা নুরুল ইসলাম চৌধুরী প্রকাশ ঠান্ডা মিয়া চৌধুরী উখিয়া উপজেলা পারিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

তিনি একজন ন্যায় বিচারক হিসেবে সবশ্রেণী মানুষের কাছে সম্মান ও শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। মানুষের যে কোন বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। সন্তানরা সবাই হয়েছেন পিতার মতো মানবদরদী। পিতার আদর্শকে ধারণ করে ছেলেমেয়েরাও নিজেদের মানবসেবায় উৎসর্গ করেছেন।

উখিয়া-টেকনাফের বর্তমান এমপি শাহীন আকতার চৌধুরী মরহুম নুরুল ইসলাম চৌধুরী প্রকাশ ঠান্ডা মিয়ার মেয়ে। বড় সন্তান হুমায়ুন কবির চৌধুরী কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য।

জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী কক্সবাজার জার্নালকে বলেন, করোনায় আতংকিত না হয়ে সচেতন হলে পরিবার পরিজনকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব। তিনি সবাইকে বাসায় অবস্থান, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ জানান । এতে নিজে ও অন্যরা সুস্থ থাকবে।

তিনি দেশের এ দুর্যোগ মুহুর্তে সবাইকে এক হয়ে মানবতার পক্ষে কাজ করার আহবান জানান।